আফগানিস্তানে ড্রোন হামলায় নিরীহ ১০ নাগরিক নিহতের ঘটনায় দায়ী মার্কিন কোনো সেনা শাস্তি পাবেন না বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। কাবুল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের একদিন আগে, গত ২৯ আগস্ট ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে শিশুসহ নিহত হন ১০ বেসামরিক নাগরিক।
Advertisement
গত মাসে প্রকাশিত উচ্চ-পর্যায়ের একটি রিপোর্ট থেকে ওই ঘটনার পর্যালোচনা কমিটি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, যেহেতু কোন আইন ভঙ্গ হয়নি এবং অসদাচরণ বা অবহেলার কোন প্রমাণ নেই তাই শাস্তিমূলক পদক্ষেপের কোন প্রয়োজন নেই। স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ড্রোন হামলার ঘটনায় একটি উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের হাতে পৌঁছেছে। সেখানে ওই হামলার জন্য কোনো জবাবদিহিতার সুপারিশ করা হয়নি। তিনি ওই সুপারিশ অনুমোদন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট ওই ঘটনার অনুসন্ধান চালিয়েছে এবং তারা বলছে, হামলায় নিহতরা কেউ আইএস জঙ্গি ছিল না।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের তদন্তে দেখা গেছে, ২৯ আগস্ট মার্কিন ড্রোন হামলায় একজন ত্রাণ সহায়তাকর্মী ও তার পরিবারের নয় সদস্য প্রাণ হারান। এর মধ্যে সাতজনই শিশু। সবচেয়ে ছোট শিশুটির নাম সুমাইয়া। তার বয়স ছিল মাত্র ২ বছর।
Advertisement
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি হামলা সম্পর্কে বলেন, ড্রোন হামলা চালানোর আট ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা ওই ত্রাণ সহায়তাকর্মীর একটি ব্যক্তিগত গাড়িকে শনাক্ত করেন। তারা ধারণা করেছিলেন, ব্যক্তিগত গাড়িটি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-কের কোনো আত্মঘাতী হামলাকারীর। তিনি আরও বলেন, এই হামলা ছিলো সত্যিই ‘মর্মান্তিক ভুল’।
সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা
এসএনআর/টিটিএন/জিকেএস
Advertisement