বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি, এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সদস্য ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সিকদার বলেছেন, ‘আমাদের হকি দল যতো বেশি ম্যাাচ খেলবে ততো উন্নতি হবে।’
Advertisement
সোমবার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ট্রফি উন্মোচণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন,‘এই টুর্নামেন্ট খেলে আমাদের দল উপকৃত হবে। এশিয়া কাপে দলগুলো গ্রুপে ভাগ করে খেলা হয়। আর এই টুর্নামেন্টে সবাই সবার সঙ্গে খেলে। তাই আমরা চারটি দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাচ্ছি। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো একটা দিক।’
এই টুর্নামেন্ট আরো আগেই হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু করোনার কারণে তিন দফা পিছিয়ে অবশেষ খেলা হচ্ছে। তবে এখনো করোনা পুরোপুরি নির্মূল হয়নি, নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ নিয়েও আতঙ্ক আছে। যে কারণে টুর্নামেন্ট চলাকালীন কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার দিকেই নজর আছে ফেডারেশনের।
রশিদ সিকদার বলেছেন, ‘করোনার মধ্যে যে সমস্ত নিয়ম-নীতি আছে, আমরা তার সবকিছু মেনেই এই টুর্নামেন্ট পরিচালনা করব। হোটেলে যেসব খেলোয়াড়-কর্মকর্তা আছেন গতকাল থেকেই তাদের করোনা টেস্ট করাচ্ছি। খেলোয়াড়রা হোটেল থেকে গাড়িতে উঠে সরাসরি মাঠে প্রবেশ করবে। তারা সম্পূর্ণ বায়ো-বাবলস সিস্টেমের মধ্যে থাকবে। আমাদের যারা এখানে কর্মকর্তা আছেন; তাদেরও করোনা টেস্ট হবে। ভিআইপি ও ভিভিআইপিতে যারা থাকবেন তাদের করোনার ডাবল ডোজ নেয়া সার্টিফিকেটই দেখেই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দিয়েছি।’
Advertisement
কেমন হবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ও সমাপনী? কোনো জাঁকজমকতা থাকছে কী? এমন এক প্রশ্নের জবাবে টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আমরা সমাপনীতে অনুষ্ঠান রেখেছি। সেখানে আমাদের কিছু আয়োজন থাকবে, ব্যাপকতা থাকবে। এটা মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজিত হতে যাচ্ছে। আবার কবে হবে আমরা কেউ বলতে পারব না।’
কোভিড-১৯ এর কারণে বারবার টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ার কারণে সেভাবে টুর্নামেন্ট সাড়া ফেলতে পারেনি উল্লেখ করে আব্দুর রশিদ সিকদার বলেছেন,‘সক্ষমতার বিষয়টি আমরা ২০১৭ সালেই প্রমাণ দিয়েছি এশিয়া কাপ আয়োজনের মাধ্যমে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ব্যাপক সাড়া ফেলবে। কোভিডের কারণে টুর্নামেন্টের সিডিউল তিনবার পরিবর্তন হয়েছে। তারপর আমরা এটি শুরু করছি। সত্যি বলতে আমরাও যেভাবে এগুতে চেয়েছিলাম সেভাবে পারিনি।’
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলা দেখতে দর্শকদের কোন টিকিট প্রয়োজন হবে না। গ্যালারিগুলো উন্মুক্ত থাকবে। দর্শকরা প্রবেশ করতে পারবেন। স্টেডিয়ামের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এসব দেখছে।
আরআই/আইএইচএস/
Advertisement