জাতীয়

নাশকতার সম্ভাবনার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেল র‍্যাব-পুলিশ

থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বড় ধরনের নাশকতার কোনো তথ্য আছে কি-না? সাংবাদিকদের প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়ে র‍্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।’বৃহস্পতিবার রাতে নববর্ষের প্রথম প্রহরে রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, দেশবাসী যাতে সুশৃঙ্খলভাবে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করতে পারে তাই কঠোর নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছে। তবে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন নয়। গত ৫-৭ বছর ধরেই খোলা জায়গায় নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে না।এবছর কেন এতো অতিরিক্ত নিরাপত্তা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ এবছর নববর্ষ উদযাপন নিয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে অনেককেই দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে যেতে হচ্ছে। অনেকেই ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। কেউ ভোগান্তির কথা বলেননি।রাজধানীতে হামলার কোনো তথ্য আছে কি-না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবে গত ২-৩ মাসের অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই এই সুদৃঢ় ও সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’নববর্ষের রাতে যাতে কোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টি না হয় তাই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সারাদেশের বারগুলো। এদিকে থার্টি ফাস্ট নাইটকে কেন্দ্র করে গুলশান-বারিধারা ও বনানীর সড়কগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট তৈরি করে তল্লাশিও করা হচ্ছে।এআর/বিএ

Advertisement