রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তায় উদযাপিত হচ্ছে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ। নববর্ষের প্রথম প্রহরে নাশকতাসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানীজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে র্যাব-পুলিশের নিরাপত্তা বলয়। নিয়মিত চেকপোস্টের বাইরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশতাধিক পয়েন্টে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি।পাশাপাশি র্যাবের পক্ষ থেকেও নেয়া হচ্ছে বিশেষ সতর্কতা। কূটনৈতিকপাড়া, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হচ্ছে অতিরিক্ত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ইতিমধ্যে গুলশান-বারিধারা এলাকায় যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।গত ২৮ শে ডিসেম্বর এক নির্দেশনায় ডিএমপি জানায়, ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ৮টার পর থেকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নং রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি রোড ক্রসিং, আমতলী ক্রসিং শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, গ্রুপ-ফোর, ডিওএইচএস বারিধারা ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিংগুলো দিয়ে গুলশান, বারিধারা, বনানী এলাকায় যানবাহন প্রবেশ বন্ধ থাকবে। তবে এসব ক্রসিং দিয়ে গুলশান থেকে বের হওয়ার যাবে।ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে অনেককেই দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে যেতে হচ্ছে। অনেকেই ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন।ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরের তুলনায় এবার থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে একটু বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর তৎপরতার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব-পুলিশ। মাঠপর্যায়ে পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে রয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য।নগরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক নারী পুলিশ। পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াত, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ছাড়াও থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তার জন্য এপিসি ও জলকামানও রয়েছে।নববর্ষের রাতে যাতে কোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টি না হয় তাই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সারাদেশের বারগুলোও। এদিকে থার্টি ফাস্ট নাইটকে কেন্দ্র করে গুলশান-বারিধারা ও বনানীর সড়কগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট তৈরি করে তল্লাশিও করা হচ্ছে।এআর/বিএ
Advertisement