আইন-আদালত

মুরাদ-নাহিদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন, শুনানি ১৫ ডিসেম্বর

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় এ আবেদন করা হয়।

বাদী পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলার আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস কে এম তোফায়েল হাসানের আদালত এ আদেশ দেন।

Advertisement

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম বদরুল আনোয়ার বাদী হয়ে মামলাটির আবেদন করেন।

মামলায় মুরাদ ছাড়াও বিবাদী করা হয়েছে উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলালকে। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের চট্টগ্রাম ইউনিটের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কটূক্তির অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি ও বিতর্কিত ইউটিউবার মো. মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটির এজাহার শুনে প্রথমে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। কিছুক্ষণ পর আদালত তার আদেশে বলেন, ডা. মুরাদ বর্তমান সংসদ সদস্য। এছাড়া তার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা চট্টগ্রামের বাইরে। তাই তার বিরুদ্ধে এই আদালতে মামলা গ্রহণ করা যাবে কি না জেলা পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এবং মহানগর পিপি উভয়ের মতামত সাপেক্ষে ১৫ ডিসেম্বর গ্রহণযোগ্যতার শুনানি হবে।

Advertisement

অ্যাডভোকেট রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী আরও বলেন, গত ১ ডিসেম্বর ডা. মুরাদ খালেদা জিয়ার নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বক্তব্য দেন, যা জিয়া পরিবারসহ নারী সমাজের জন্য মানহানিকর এবং অপমানজনক। শিষ্টাচারবহির্ভূত এই ভিডিওটি দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা এবং অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। দেশের জনসাধারণের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। ফলে দেশে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মামলাটি দায়ের করা হয়।

সম্প্রতি নারীর প্রতি অশ্লীল মন্তব্য করে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারান ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান।

ফেসবুকে এক লাইভ অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়েকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি।

এরপরই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়। সেখানে মাহির সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন তিনি। এমনকি মাহিকে ধর্ষণ এবং উঠিয়ে আনার হুমকি দেন। সে সময় চিত্রনায়িকাকে দেখা করার জন্য তাগাদা দিতে থাকেন মুরাদ। তখন ফোনে চিত্রনায়ক ইমনকে প্রতিমন্ত্রী বলছিলেন, ঘাড় ধরে যেন মাহিকে তার কাছে নিয়ে যান।

সেই অডিও ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন মুরাদ হাসান। পরে তাকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ৭ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। ওইদিন রাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।

মিজানুর রহমান/জেডএইচ/জিকেএস