পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হয়ে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বরগুনা সদর পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল আহসান মহারাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে ঢাকায় আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তার দুই কর্মীকেও ঢাকায় নেয়া হবে।বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। অ্যাডভোকেট মো. কামরুল আহসান মহারাজ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।কামরুল আহসান মহারাজের ছোট ভাই মিরাজ জাগো নিউজকে জানান, বুধবার বিকেল ৪টার দিকে শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মহারাজের মাথায় অস্ত্রপচার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন। সেই সঙ্গে নয়ন চন্দ্র দে এবং শুকদেব নামের তার দুই নির্বাচনী কর্মীকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার রাতেই তাদেরকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।প্রসঙ্গত, বুধবার পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় সকাল ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের এজেন্টদের সঙ্গে পুলিশ খারাপ আচরণ করলে ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করে এজেন্টরা। এসময় প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ। পরে দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে এক সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পরে বরগুনা সরকারি কলেজ ভোট কেন্দ্রে তার দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার খবর শুনে তিনি বেশ কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মীসহ ওই কেন্দ্রের দিকে যান। এসময় পুলিশ গুলি ছুড়লে অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজের মাথায় গুলি লাগে। একই সময়ে গুলিবিদ্ধ হন তার আরো ৯ জন নেতাকর্মী।মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এমজেড/বিএ
Advertisement