হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে কারাগারে থেকে লড়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জি কে গউছ। এমনকি তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টও কারাগারে আটক আছেন। কিন্তু তার পক্ষে নীরব ভোট বিপ্লব ঘটিয়েছেন। হবিগঞ্জ পৌরসভায় এমন ঘটনা প্রথমবারই ঘটেছে। এর আগে কোনো চেয়ারম্যান বা মেয়র প্রার্থী কারাগারে থেকে নির্বাচিত হননি। এ নিয়ে জি কে গউছ মোট তিনবার নির্বাচিত হলেন।১৮৮১ সালে গঠন হয় হবিগঞ্জ পৌরসভা। বর্তমান মেয়র প্রতিষ্ঠালগ্নে এ পদটির নাম ছিল সভাপতি। এরপর চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে তা মেয়র নামে অভিহিত হয়। ২০০৪ সালে বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে জি কে গউছ তৎকালীন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরীকে পরাজিত করে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।পরবর্তীতে তিনি নিজের যোগ্যতা এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পৌরবাসীর মন জয় করতে সক্ষম হন। ফলে ২০১০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ উল্লাহকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে তিনি নির্বাচিত হন। এরপর সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিটের আসামিভুক্ত হওয়ায় ২০১৪ সালের শেষে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তখন থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন। বর্তমানে সিলেট কারাগারে আটক রয়েছেন। কারাগারে থেকেই তিনি এবারের নির্বাচনে অংশ নেন।নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজানকে পরাজিত করে জি কে গউছ নির্বাচিত হন।উল্লেখিত, অন্য দুই প্রার্থীও অত্যন্ত শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন। তাদেরও রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিচিতি। তবে নির্বাচনে জি কে গউছের পক্ষে ভোটাররা নিরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন বলে মনে করেন বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা জানান, তারা ঠিকমতো কাজ করতে পারেননি। এজেন্ট দিতে পারেননি।সৈয়দ এখলাছুর রহমান/এমজেড/বিএ
Advertisement