আইন-আদালত

ড. ইউনূসের শ্রম আইনের মামলা স্থগিত

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ফৌজদারি আইনের ৩০৩ (ঙ) ও ৩০৭ ধারায় দায়ের করা মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

এছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নুরজাহান বেগমের ক্ষেত্রেও মামলা স্থগিত করেছেন আদালত। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।

মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রোববার (১২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ফৌজদারি আইনের ৩০৩ (ঙ) ও ৩০৭ ধারায় করা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আবেদনে মামলা বাতিল চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

এর আগে, হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয় বলে রোববার (১২ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ড. ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। আদালত ১২ অক্টোবরের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছিলেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে গেলে সেখানে শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন নজরে আসে। এর মধ্যে রয়েছে- ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি; শ্রমিকদের অংশগ্রহণে তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি; এছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি।

Advertisement

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর বাদী হয়ে ফৌজদারি আইনে মামলা করে।

এফএইচ/জেএইচ/এআরএ/জিকেএস