সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। আগামী মঙ্গলবার আদালতে আবেদনের শুনানি হবে।
Advertisement
রোববার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, খুলনার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেক মোল্লা গোলাম মওলা এ আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয় গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনো সময় সিবিএমের উপস্থাপক নাহিদ তথ্যমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের একটি সাক্ষাৎকার নেন। ওই সাক্ষাৎকারে বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ভাষায় নারী বিদ্বেষী বক্তব্য দেন ডা. মুরাদ। যা মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতি ও রাজনৈতিক শ্রেণি গোষ্ঠীর মধ্যে অসন্তোষ এবং দাঙ্গা সৃষ্টির বহিঃপ্রকাশ।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আনিসুর রহমান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, শনিবার আমরা খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করতে গিয়েছিলাম। থানা থেকে আমাদের জানানো হয় এ মামলা গ্রহণের এখতিয়ার তাদের নেই। সেখান থেকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আদালত মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী দিপন কুমার মন্ডল জানান, নিয়ম অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে মামলা করার জন্য আদালতে উপস্থিত হতে হয়। নিময়ের ক্ষেত্রে তাদের ব্যত্যয় হয়েছে। তাছাড়া মামলার অনেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিলো না। আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
এদিকে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন বগুড়ার আইনজীবী একেএম সাইফুল ইসলাম। তিনি বগুড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উপদেষ্টা এবং বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।
অপরদিকে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী। মামলার আবেদনে উল্লেখ করা অপর আসামি হলেন মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ।
Advertisement
চট্টগ্রামেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। একই মামলায় বিবাদী করা হয়েছে মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকে।
আলমগীর হান্নান/এফএ/জেআইএম