কুমিল্লায় পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। জেলার বরুড়ায় কাউন্সিলর পদে পরাজিত এক প্রার্থীর কর্মীরা অপর পরাজিত প্রার্থীর কর্মীদের ছয়টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এসময় আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম। তিনি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোর লোকজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার জেলার বরুড়া পৌরসভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ওই পৌরসভার শালুকিয়া গ্রামের কাউন্সিলর প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায় একই গ্রামের কাউন্সিলর প্রার্থী আমান উল্লাহর কর্মীরা। স্থানীয়রা জানান, নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ড থেকে শালুকিয়া গ্রামের মাহফুজুর রহমান কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় একই গ্রামের বর্তমান কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর প্রার্থী আমান উল্লাহ ও তার কর্মী-সমর্থকরা মাহফুজুর রহমানের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। বুধবার রাতে নির্বাচনের ফলাফলে উভয় প্রার্থী পরাজিত হন। এতে আমান উল্লাহর কর্মী-ক্যাডাররা রাতে ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুল ইসলামের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালান এবং তাকে বেধড়ক মারধরসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এসময় তার ভাই রফিকুল ইসলামের ঘরেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শালুকিয়া গ্রামের আবদুল খালেকের ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ তার ঘর থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটে নেন হামলাকারীরা। এছাড়া একই গ্রামের আবদুর রহমান মাস্টার ও খোরশেদ আলমের ঘর ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ও বিজিবি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করে এবং হামলাকারীদের ধাওয়া করে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দাখিল করেনি বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা।মো. কামাল উদ্দিন/এমজেড/পিআর
Advertisement