ধর্ম

দুনিয়ায় সর্বোত্তম গুণের স্ত্রী কারা?

‘সর্বোত্তম স্ত্রী তো সে-ই; যাকে দেখে স্বামী মুগ্ধ হয়; সংসার ছেড়ে বাইরে গেলে স্ত্রী ও তার সম্পদের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকে।’ এটি গতানুগতিক কোনো কথা নয়; হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ সিলসিলাহ সহিহায় বর্ণিত হাদিস এটি। এ গুণের অধিকারীরা-ই সৌভাগ্যবান স্ত্রী।

Advertisement

পুরুষদের মধ্যে সাধারণত অনেকে স্বভাবগতভাবে কিছুটা অগোছালো । মানুষের অগোছালো জীবনকে একজন স্ত্রী-ই পারে গুছিয়ে দিতে। স্ত্রী ছাড়া জীবন-সংসার কেউই গুছিয়ে দিতে পারে না ।

আর স্ত্রী যদি হয় একজন পূণ্যবতী , তবে সেই স্ত্রীই ব্যক্তির দ্বীন-দুনিয়া উভয়ই আল্লাহর ইচ্ছায় গড়ে দেবে। আর স্ত্রী যদি হয় বদগুণের অধিকারী তবে দ্বীন ও দুনিয়া উভয় জগৎই বরবাদ হয়ে যাবে।

দুনিয়ায় সর্বোত্তম সম্পদ হচ্ছে নেককার স্ত্রী।প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন , ‘পুরুষের জন্য সুখ ও সৌভাগ্যের বিষয় হলো চারটি-

Advertisement

১. সতী-সাধ্বী নারী;

২. প্রশস্ত ঘর;

৩. সৎ প্রতিবেশি এবং

৪. সচল গাড়ি।

Advertisement

আর দুঃখ ও দুর্ভাগ্যের বিষয়ও চারটি-

১. অসৎ প্রতিবেশি;

২. অসতী স্ত্রী

৩. অচল গাড়ি এবং

৪. সংকীর্ণ ঘর।’ (সিলসিলা সহিহা)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘সৌভাগ্যের স্ত্রী সে-ই , যাকে দেখে স্বামী মুগ্ধ হয়। সংসার ছেড়ে বাইরে গেলে স্ত্রী ও তার সম্পদের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকে । আর দুর্ভাগার স্ত্রী হলো সে-ই , যাকে দেখে স্বামীর মন তিক্ত হয় , যে স্বামীর ওপর জিহ্বা লম্বা করে ( মুখে মুখে তর্ক করে ) এবং সংসার ছেড়ে বাইরে গেলে ওই স্ত্রী ও তার সম্পদের ব্যাপারে সে নিশ্চিন্ত হতে পারে না।’ (মুসতাদরাকে হাকেম, সিলসিলাহ সহিহা)

মনে রাখতে হবে

ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া হচ্ছে দ্বীনের অর্ধেক। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মুসলিম বান্দা যখন বিয়ে করে, তখন সে তার অর্ধেক ঈমান পূর্ণ করে , অতএব বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (তালখিসুর হাবীর, আসক্বালানি)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘ব্যভিচার থেকে বাঁচা এবং পবিত্র জীবন গঠনের উদ্দেশ্যে বিবাহ করলে দাম্পত্য জীবনে আল্লাহর সাহায্য আসে।’ (সহিহুল জামে)

দুনিযায় যত ধরনের মৌলিক গুনাহ আছে এর অধিকাংশ গুনাহ থেকেই বাঁচার অন্যতম উপায় হচ্ছে বিয়ে। আবার মৌলিক বড় বড় যেসকল নেক আমল রয়েছে সেসব আমলের রাস্তাও বিয়ের মাধ্যমেই সহজতর হয়। এ কারণেই ইসলামের বিয়ে মর্যাদা অনেক বেশি। বিয়ের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের মিলিত হওয়াও সাদকা বলে গণ্য।

দুনিয়ার সব স্ত্রীই হোক নেককার ও সৌভাগ্যের। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহরে সব নারীকে পূণ্যবতী স্ত্রীর মর্যাদা দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম