ডুবে গেল ২০১৫ সালের সূর্য। অনেক প্রাপ্তি, শঙ্কা, হতাশা, ক্লান্তি ও নানা ঘটনা আর উপ ঘটনায় শেষ হল একটি বছর। বছরের শুরু থেকে দেশের পরিস্থিতি উত্তাপ থাকলেও শেষের দিকে ছিল শান্তিময়। বিজ্ঞজনের মতে, ২০১৫ সাল ছিল দেশের উন্নয়নের বছর। উন্নয়নে পিছিয়ে ছিল না কক্সবাজারও। এই বছরটি কক্সবাজারের মানুষের প্রাপ্তির বছর। সরকারের আন্তরিকতায় সাগর তীরের এই জেলার মানুষ পেয়েছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, মাতারবাড়ির কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ও কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রসারণের মতো অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। ২০১৫ সালেই ক্ষত শুকিয়েছে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের। এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ রামুর ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দিরগুলো। হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে না পেলেও পেয়েছে আধুনিক স্থাপত্যশৈলির এক অন্যন্য বৌদ্ধবিহার। ২০১৫ সাল কক্সবাজারের মানুষের জন্য তেমন একটা হতাশার ছিল না। অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন হয়েছে এ সালেই। তাই উন্নয়নের দৌড় প্রতিযোগিতায় এ সাল কক্সবাজারবাসীর জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে অভিমত অনেকের। ২০১৫ সালে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত শান্ত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। এখানে রাজনৈতিক দ্বন্দ বা সংঘাত কোনোটাই হয়নি। ২০১৫ সালে পর্যটনও পেয়েছে এক নতুন মাত্রা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় দীর্ঘদিনের লোকসান প্রায় পুষিয়ে উঠেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। একইভাবে শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নেও পিছিয়ে ছিল না কক্সবাজার। এদিকে ২০১৫ সালের শেষ সূর্যকে বিদায় জানাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মিলিত হয় লাখো মানুষ। তাদের প্রত্যাশা ২০১৫ সালের মতই যেন ২০১৬ সাল আরও সুখ শান্তি নিয়ে আসে। সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/পিআর
Advertisement