বান্দার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা লিখে শেষ করা যাবে না। আল্লাহ বলেন- বলুন, আমার পালনকর্তার কথা, লেখার জন্যে যদি সমুদ্রের পানি কালি হয়, তবে আমার পালনকর্তার কথা, শেষ হওয়ার আগেই সে সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে। সাহায্যার্থে অনুরূপ আরেকটি সমুদ্র এনে দিলেও। (সুরা কাহফ : আয়াত ১০৯) বান্দার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কিছু উপমা তুলে ধরা হলো-ক. আল্লাহর শক্তি সীমাহীন। তিনি কখনো কারণ ও উপকরণের মাধ্যমে রিযিক দান করে থাকেন। যেমন- তিনি পানিকে উদ্ভিদ গজানোর জন্য কারণ করেছেন। স্ত্রী সহবাসকে সন্তান সৃষ্টির জন্য কারণ করেছেন। সুতরাং আমরা বৈধ কারণ এবং মাধ্যম গ্রহণ করবো। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উপর ভরসা করবো না।খ. আবার কখনো তিনি রিযিকদান করেন কোনো কারণ ছাড়াই। তিনি যখন কোনো জিনিসকে হওয়ার জন্য বলেন হও। তখন তা সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যায়। যেমন- আল্লাহ হজরত মরিয়মকে গাছ ছাড়া ফল এবং স্বামী ছাড়া সন্তান দান করেছিলেন।
Advertisement
গ. আবার কখনো তিনি কারণ এবং উপকরণের বিরুদ্ধে তাঁর শক্তি প্রয়োগ করেছেন। যেমন- আগুনকে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের জন্য ঠাণ্ডা ও নিরাপদ করে দিয়েছিলেন। হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে পানিতে ডুবা থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন এবং ফিরাউন ও তার জাতিকে পানিতে ডুবিয়ে মেরে ছিলেন। হজরত ইউনুছ আলাইসি সালামকে মাছ ও সাগরের অন্ধকার থেকে নাজাত দান করেন।আল্লাহ বলেন, তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়। (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ৮২)পরিশেষে...বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার এত অধিক অনুগ্রহ যে, শুকরিয়া আদায় করে তা শেষ করা যাবে না। সুতরাং আল্লাহর প্রতিটি অনুগ্রহের শুকরিয়া আদায়ে তাঁর হুকুম-আহকাম পালনে স্বচেষ্ট হই। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার প্রতিটি হুকুম-আহকাম বাস্তবজীবনে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর