চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকার নালায় তলিয়ে নিখোঁজ হওয়া ১০ বছরের শিশু মো. কামালের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মুরাদপুর এলাকার মির্জা খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ। তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। একপর্যায়ে মুরাদপুর এলাকার মির্জা খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ষোলশহরের চাঁন্দগাও সার্কেলের ভূমি অফিসের সামনের খালে শিশু কামাল নিখোঁজ হয়। তবে ঘটনার পরদিন (মঙ্গলবার) বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর সঙ্গে সঙ্গে অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। টানা তিনদিন অভিযানের পর আজ বেলা ১২টার দিকে নিখোঁজ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
জানা গেছে, গত ৩০ জুন নগরের ২ নম্বর গেটে মেয়র গলিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা নালায় পড়ে যায়। এ ঘটনায় মারা যান অটোরিকশায় থাকা খদিজা বেগম ও চালক সুলতান।
এর আগে গত ৫ আগস্ট মুরাদপুর মোড়ে সালেহ আহমদ নামে এক ব্যক্তি নালায় তলিয়ে যান। এখনো তার খোঁজ মেলেনি। সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ এলাকার একটি নালায় তলিয়ে মারা যান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া।
এদিকে, নালায় তলিয়ে সালেহ আহমদ নিখোঁজের পর চসিক-সিডিএ পরস্পরকে দোষারোপ করেন। একপর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তা জানতে চান এসব ঘটনায় দায়ী কে? চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এ তথ্য চাওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদের চিঠি পাওয়ার পর গত ২ অক্টোবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়।
Advertisement
তাদের তদন্তে ঘটনায় মূল দায়ী করা হয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ)। একই ঘটনায় নগরের প্রধান সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) দায়িত্বহীনতার বিষয়টিও উঠে আসে।
মিজানুর রহমান/কেএসআর/এএসএম