নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নে অবস্থিত বায়তুল মামুর নূরানি ও হাফেজিয়া মাদরাসা। ২০ বছর হয়েছে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার। স্থানীয়রা জানান, প্রতিষ্ঠার পর এ মাদরাসায় কোনোদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি।
Advertisement
সবশেষ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়েছে।
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার উদ্যোগে এই প্রথম ওই মাদরাসায় উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। এ উপলক্ষে শীতকালীন পিঠা-পুলি উৎসবেরও আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০০১ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর থেকে এখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়নি। খবর পেয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা উষ্মা প্রকাশ করেন এবং অনুষ্ঠান আয়োজনে স্থানীয় নেতাদের অনুরোধ করেন।
Advertisement
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসায় ২০ বছরেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়নি শুনে মর্মাহত হয়েছি। এ মাদরাসাগুলো গতানুগতিক ধারায় বেকার সৃষ্টির কারখানা। এগুলোতে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাই বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলেছি। এসময় তিনি মাদরাসার জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদানও ঘোষণা করেন।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. পেশোয়ার হোসেন নিঝুম বলেন, আগের কমিটিগুলো বিষয়টি উপলব্ধি করেনি। করোনার কারণে আর্থিক সংকটে মাদরাসাটি প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সহযোগিতায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
অনুষ্ঠানে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সমাজসেবক হাসান ইমাম বাদলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, মেয়রপত্নী আকতার জাহান বকুল, নারী নেত্রী পারভীন মুরাদ, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কাশেমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি।
ইকবাল হোসেন মজনু/জেডএইচ/
Advertisement