দেশজুড়ে

রাজশাহীতে ভুল সেটে এইচএসসি পরীক্ষা, দুশ্চিন্তায় ২০০ পরীক্ষার্থী

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সব কেন্দ্রে দুই নম্বর সেটের প্রশ্নে পরীক্ষা হলেও রাজশাহীর মাদার বক্স গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে ভুল করে চার নম্বর সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এতে ওই কেন্দ্রের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

Advertisement

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এইচএসসির রসায়ন প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী জেলায় ৪০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা চলছে। ৪০টি কেন্দ্রের মধ্যে ওই কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

ভুল সেটের প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন মাদার বক্স গার্হস্থ্য মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সালমা সাহাদাত। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘নিয়ম অনুসারে ট্যাগ অফিসার, কেন্দ্রে ডিউটিরত পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের উপস্থিতিতে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটটি খোলা হয়। এরপর পার্শ্ববর্তী কলেজের অধ্যক্ষ বা পরীক্ষা কমিটিতে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা হয় কোন প্রশ্নপত্রের সেটে পরীক্ষা হচ্ছে। তবে আজ (বুধবার) ভুলক্রমে অন্য সেটের প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ সবই সঠিকভাবে করা হয়েছে কিন্তু ভুল করে দুই নম্বর প্যাকেটের খাম খোলার বদলে চার নম্বর প্যাকেটে থাকা প্রশ্নপত্রের খামটি খোলা হয়। এরপর তাড়াহুড়ো করে পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্রগুলো সরবরাহ করা হয়। পরে নগরীর শাহমুখদুম কলেজের পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা কনভেইনারকে মোবাইলে জানতে চাওয়া হয় প্রশ্নের বিষয়ে। তখন দুই নম্বর সেটের বিষয়টি জানতে পারি। তবে ততক্ষণে পরীক্ষা শুরু হয়ে অনেকটা সময় চলে যায়। এজন্য ওই প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।’

Advertisement

বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ সালমা সাহাদাত। তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত আবেদনও করা হয়েছে।

‘ভিন্ন সেটে পরীক্ষা হলেও তা সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত পাঠ্যসূচিতে হয়েছে। এতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন, এ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের খাতা আদালাভাবেই মূল্যায়ন করা হবে। এতে দুশ্চিতার কিছু নেই’—যোগ করেন সালমা সাহাদাত।

এ বিষয়ে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্যদের সঙ্গে আমাদের একাধিকবার আলাপ-আলোচনায় হয়েছে। ওই ২০০ শিক্ষার্থীর খাতা আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা হবে।

ফয়সাল আহমেদ/এসআর/জিকেএস

Advertisement