যে ব্যক্তি কারো উপকার করে তার জন্য দোয়া বা কল্যাণ কামনা করা সুন্নাহ। কেউ কোনো উপকার করলে সাধারণ মানুষ অসতর্কতার কারণে কারো কল্যাণ কামনা বা দোয়া করে না। সুন্নাহ হচ্ছে উপকারকারীর জন্য দোয়া বা কল্যাণ কামনা করা। কিন্তু উপকারকারীর কল্যাণ কামনায় বা দোয়ায় কী বলা সুন্নাহ?
Advertisement
উপকার বড় হোক আর ছোট হোক; উপকারকারীর জন্য দোয়া করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
কেউ যদি কারো কোনো উপকার করে তবে সুন্নাহ হচ্ছে- তার বিনিময় দেওয়া। আর যদি উত্তম কোনো বিনিময় দেওয়া সম্ভব না হয় তবে দোয়া করা বা কল্যাণ কামনা করা সুন্নাহ। তাহলো-
جَزَاكَ اللهُ خَيْرًا
Advertisement
উচ্চারণ : ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’
অর্থ : আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান বা কল্যাণ দান করুন।
মনে রাখা জরুরি
কেউ যদি কাউকে ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলে কল্যাণ কামনা করেন; তবে কল্যাণ কামনাকারীর জন্য এ দোয়া করাও উত্তম। তাহলো-
Advertisement
وَاِيَّاكَ خَيْرًا – وَ اِيَّاكُمْ
‘ওয়া ইয়্যাকা খাইরান বা ওয়া ইয়্যাকুম’
অর্থ : আর (আল্লাহ) আপনাকে/আপনাদের উত্তম প্রতিদান আ কল্যাণ দান করুন।
দোয়া পাঠকারীর জন্য সতর্ককতা
অনেক সময় কেউ কেউ উপকারীর জন্য শুধু ‘জাযাকাল্লাহু’ বলেন। বরং তা না বলে পুরো ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলা সুন্নাহ ও উত্তম। কারণ ‘জাযাকাল্লাহু’ দ্বারা প্রতিদান ভালোও হতে পারে আবার মন্দও হতে পারে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ পালনে উপকারীর জন্য উক্ত দোয়া করার তাওফিক দান করুন। তাদের পরস্পরকে আল্লাহ তাআলা উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম