জাতীয়

জীবন দিয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাস উপহার দিয়ে গেছে আবরার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ নিজের জীবন দিয়ে বুয়েটকে একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস উপহার দিয়ে গেছে। এখন আর ক্যাম্পাসে কেউ অনিরাপদ নয়। লেখাপড়ার ও সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে সোচ্চার বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে আবরার হত্যা মামলার রায়ের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা শুরু থেকে এ ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিল। আজ আদালতের রায় সম্পর্কে অবগত হয়েছেন উল্লেখ করে তারা বলেন, রায় চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে সবার আস্থা প্রতিফলন ঘটেছে। দ্রুত এ রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। আশাবাদ ব্যক্ত করে তারা বলেন, এ রায়ের শেষপর্যন্ত বহাল থাকবে এবং এরা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যাশা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক কাউকে যেন রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি বলি হতে না হয় এবং সবক্ষেত্রে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে।

Advertisement

লিখিত বক্তব্যে তারা আরও বলেন, আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে তিনজন এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুজতবা রাফিদ এবং মোর্শেদুজ্জামান মন্ডল জিসান এখনো পলাতক। তাদের দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

তারা আবরার ফাহাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মিডিয়াকর্মী এবং দেশবাসীকে পুরো বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এমইউ/এমএএইচ/জেআইএম

Advertisement