সম্প্রতি একটি অডিও ফাঁসের ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফাঁস হওয়া ফোনালাপের বিষয়ে চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনকে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
Advertisement
তবে জ্ঞাতসারে তার কাছ থেকে অডিও ফাঁস হয়নি বলে র্যাবকে জানিয়েছেন ইমন। অডিওটি কিভাবে ফাঁস হয়েছে এ ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য দিয়ে র্যাবকে সহয়তা করবেন বলে জানিয়েছেন ইমন।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত র্যাব সদর দপ্তরে ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর রাত সোয়া ১১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইমনের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর বেশকিছু পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
Advertisement
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জ্ঞাতসারে অডিওটি ফাঁস হয়নি। যেহেতু কথোপকথনটি গত বছরের, সেহেতু তার কাছ থেকে কিভাবে অডিওটি ফাঁস হলো এ বিষয়ে র্যাবকে সহয়তা করার কথা জানিয়েছেন ইমন।
এর আগে সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে ফোনালাপের বিষয়ে ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সেখানে তার সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন ডিবি কর্মকর্তারা। এরপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিত্রনায়িকা মাহি ও সদ্য পদত্যাগ করা তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। সেই ফোনে অশ্লীল-আপত্তিকর ভাষায় মাহির সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি মাহিকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। নিজের অনৈতিক ইচ্ছার কথা জানান। এমনকি চিত্রনায়িকাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।
এসব ঘটনায় এরই মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ডা. মুরাদ হাসান। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় তার পক্ষে জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তরে পদত্যাগপত্রটি জমা দেন। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে রাতে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
Advertisement
এদিকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ সম্পাদকের পদে ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
টিটি/কেএসআর/এমএস