ফলোঅন এড়াতে করতে হতো মাত্র ১০১ রান। কিন্তু সেটিও করতে পারলো না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। হোম অব ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো একশ রানের নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবে ফলোঅনে পড়েছে মুমিনুল হকের দল।
Advertisement
আগেরদিন করা ৭ উইকেটে ৭৬ রানের সঙ্গে আজ যোগ হয়েছে আর মাত্র ১১ রান। সবমিলিয়ে দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন ৮৭ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঠিক ৮৭ রানেই অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে করা ৩০০ রানের চেয়ে ২১৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবে স্বাগতিকরা। পঞ্চম দিনের খেলা বাকি রয়েছে আরও ৯০ ওভার। পরাজয় এড়াতে হয় পুরো ৯০ ওভার খেলতে হবে বাংলাদেশকে অথবা ২১৩ রান পেরিয়ে লক্ষ্য ছুড়ে দিতে হবে পাকিস্তানকে।
বাংলাদেশকে ৮৭ রানে গুড়িয়ে দেওয়ার পথে ৪২ রান খরচায় ৮ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের অফস্পিনার সাজিদ খান। যা টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের চতুর্থ সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে এটিই সেরা বোলিং ফিগার। পাশাপাশি বাংলাদেশের মাটিতে দ্বিতীয় সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন সাজিদ।
Advertisement
মঙ্গলবার ম্যাচের চতুর্থ দিনই ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন পাকিস্তানি অফস্পিনার। আজ দিনের প্রথম ওভারেই তাইজুলকে ফেরান তিনি। দিনের দ্বিতীয় ওভারে দারুণ এক ইয়র্কারে খালেদ আহমেদের উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ মাত্র ৭৭ রান।
এরপর এবাদত হোসেনকে নিয়ে ফলোঅন এড়ানোর চেষ্টা করেন সাকিব। কিন্তু ইনিংসের ৩২তম ওভারের শেষ বলে সাজিদের অষ্টম শিকারে পরিণত হয়ে শর্ট কভারে আজহার আলির হাতে ধরা পড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে সাকিব করেন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৩ রান।
মিরপুরের মাঠে এতোদিন ধরে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড ছিল ১১০ রানের। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশই পড়েছিল এই লজ্জায়। এবার সেটিকেও ছাড়িয়ে মাত্র ৮৭ রানেই গুটিয়ে গেল স্বাগতিক দল। এমনকি দেশের মাটিতেও বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড এটি।
এসএএস/এমএস
Advertisement