পাগলাটে এক সকালই দেখলো ব্রিসবেনের গ্যাবা। ঐতিহাসিক অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম সেশনটি ছিল ঘটনাবহুল। যা শুরু হয় একদম দিনের প্রথম বল থেকে এবং চলমান থাকে পুরো প্রথম সেশনে। যেখানে আধিপত্য বিস্তার করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াই।
Advertisement
প্রথম দিনের প্রথম সেশন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২৬ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৫৯ রান। অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের আগুনে পুড়ে ছারখার হয়েছে ইংল্যান্ডের টপঅর্ডার ব্যাটিং। শুধু একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন ওপেনার হাসিব হামিদ। সাজঘরে ফিরে গেছেন জো রুট, বেন স্টোকসের মতো তারকারা।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম বলেই বাঁহাতি ওপেনার ররি বার্নসকে প্যাভিলিয়নের টিকিট ধরিয়ে দেন মিচেল স্টার্ক। ডেলিভারিটি ছিল লেগস্ট্যাম্পে অনেকটা হাফ ভলি ধরনের। কিন্তু বার্নস আগেই অফস্ট্যাম্পের দিকে সরে যাওয়ায় সেটি আর আয়ত্বে পাননি।
ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে, বল আঘাত হেনেছে লেগ স্ট্যাম্পে। প্রথম বলেই উইকেট হারিয়ে শুরু হয় ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ। তবে ঠিক পরের বলেই চার মেরে পাল্টা জবাব দেওয়ার বার্তা দিয়ে রাখেন ডেভিড মালান। কিন্তু তাকে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি জশ হ্যাজলউড।
Advertisement
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ঠিক কপিবুক স্টাইলে মালানকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন হ্যাজলউড। অভিষেকে নিজের প্রথম ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারে। হ্যাজলউড নিজের পরের ওভারে ইংল্যান্ডকে আরও বড় ধাক্কাটি দেন।
ফর্মের চূড়ায় থেকেই অ্যাশেজ শুরু করেছেন রুট। কিন্তু প্রথম ম্যাচে তাকে সেই ফর্মের ঝলক দেখাতে দেননি হ্যাজলউড। দারুণ সেট আপ করে রুটকে প্রথম স্লিপে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ বানান অসি পেসার। রানের খাতাই খুলতে পারেননি ইংলিশ অধিনায়ক।
মাত্র ১১ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে তখন গভীর খাঁদে ইংল্যান্ড। তাদের বিপদ আরও বাড়ে ইনিংসের ১৩তম ওভারে বেন স্টোকসের বিদায়ে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে প্রথম উইকেট শিকার করেন প্যাট কামিনস। তৃতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে ৫ রান করা স্টোকসের ক্যাচটি ধরেন মার্নাস লাবুশেন।
এরপর আর বিপদ ঘটতে দেননি হাসিব হামিদ ও অলি পোপ। দুজন মিলে সেশনের বাকি ১৩.২ ওভার নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন। যেখানে যোগ হয় ৩০ রান। হাসিব ৭৩ বলে ২৫ ও পোপ ৪৩ বলে ১৭ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন।
Advertisement
এসএএস/এমএস