দেশজুড়ে

ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক থেকে মমেক ছাত্রলীগের সভাপতি হন মুরাদ

সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার এ মন্তব্যের পর বিতর্ক শুরু হয়। এবার ডা. মুরাদের ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত করলেন ময়মনসিংহ জেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোতাহার হোসেন তালুকদার।

Advertisement

মোতাহার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডা. মুরাদের মমেক ছাত্ররাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল ছাত্রদল দিয়ে। ১৯৯৩ সালে এম-৩০ ব্যাচে মুরাদ হাসান এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। এরপর তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় হন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময় তিনি (ডা. মুরাদ) ছাত্রদল কমিটির প্রচার সম্পাদক হয়েছিলেন। তবে ক্ষমতার পালাবদলে নিজেও ভোল পাল্টান। পরে ছাত্রদলের পদধারী নেতা থেকে হয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি।’

জেলা ছাত্রদলের এ নেতা আরও জানান, ছাত্রদলের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ১৯৯৬-৯৮ কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে চার-পাঁচ মাস দায়িত্বপালন করেন ডা. মুরাদ হাসান। তখন ছাত্রদলের মমেক শাখার সভাপতি ছিলেন সৈয়দ মেহবুব উল কাদির, সাধারণ সম্পাদক ইসহাক। পরে ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেন মুরাদ। একপর্যায়ে মমেক শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির পদ পান সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

Advertisement

সূত্র জানায়, ডা. মুরাদের বাবা মতিউর রহমান তালুকদার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। সেই ক্ষমতার দাপটে মমেক ছাত্রলীগের পদ বাগিয়ে নেন মুরাদ।

তৎকালীন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সাইদ মেহবুব আল কাদির জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডা. মুরাদ বিএনপির বিভিন্ন মিটিং মিছিলে যোগদান করতেন। পরে কমিটি ঘোষণা করা হলে তাকে মমেক ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক পদ দেওয়া হয়।’

জানতে চাইলে তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রিপন জাগো নিউজকে বলেন, ডা. মুরাদ ১৯৯৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তির পর থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটির প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী ক্ষমতায় এলে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে যোগ দেন। ২০০০ সালে মমেক ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস

Advertisement