অর্থনীতি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১০-১১ ডিসেম্বর

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত দুদিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ইউজিসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এর সম্ভাবনাসমূহকে কাজে লাগাতে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর করণীয় নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দেশ-বিদেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, গবেষক, উদ্ভাবক, শিক্ষার্থী, শিল্পোদ্যোক্তা, নীতিপ্রণেতা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে আগামী ১০-১১ ডিসেম্বর এ সম্মেলন আয়োজন করেছে।

Advertisement

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামী ১০ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন এবং সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

ইউজিসি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন ইউজিসি সদস্য ও কনফারেন্স অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দুদিনের এ সম্মেলনের সমাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলনের সমাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মনীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন ইউজিসি সদস্য ও কনফারেন্স অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ার প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন।

Advertisement

এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে তিনজন নোবেল বিজয়ী (Oliver Hart, Konstantin Novoselov, Takaaki Kajita) এবং সাতজন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী অংশ নেবেন। ফলে আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করা এবং স্থানীয় সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার উপযুক্ত কৌশল তৈরি সম্ভব হবে।

দুদিনের এ সম্মেলনে মোট ছয়টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন হবে। ২১টি টেকনিক্যাল সেশনে মোট ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন হবে।

ইউজিসি থেকে জানানো হয়, সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ৫২৫টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়ে। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গঠিত কমিটি সেরা ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য নির্বাচন করেছে। সম্মেলনে দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যৌথ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে ইউজিসি ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একাধিক ত্রি-পাক্ষিক সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের (IC4IR) পাশাপাশি একত্রে অনুষ্ঠিত হবে ‘মুজিব শতবর্ষ আইডিয়া প্রতিযোগিতা-২০২১’ ও ‘মুজিব ১০০ শিল্প প্রদর্শনী-২০২১’।

মুজিব শতবর্ষ আইডিয়া প্রতিযোগিতা-২০২১, যার মাধ্যমে স্থানীয় উদ্ভাবনগুলো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। আইডিয়া প্রতিযোগিতায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষক ও উদ্ভাবকরা মোট ১ হাজার ৫১টি আইডিয়া জমা দেন। ২১৭ জন জুরি সদস্য একাধিক ধাপে সেরা ১০০টি আইডিয়া পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছে। নির্বাচিত প্রতিটি আইডিয়া প্রণেতারা বিশ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে পাবেন। ১০০টি আইডিয়া থেকে চূড়ান্তভাবে ১০ টি আইডিয়া বাস্তবায়নের জন্য প্রত্যেকটিকে ১০ লাখ টাকা করে মোট ১ কোটি টাকা দেওয়া হবে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, স্মার্ট শহর ও গ্রাম, কর্মসংস্থান, ই- গভনের্স, পরিবহন ও পর্যটন, পরিবেশ, রিটেইল ও ই-কমার্স এবং ব্যাংকিং ও আর্থিকসহ ক্ষেত্রগুলোতে আইডিয়া জমা পড়েছে।

এছাড়া আয়োজিত মুজিব ১০০ শিল্প প্রদর্শনী ২০২১ -এ মোট ২০টি ক্ষেত্রকে বাছাই করা হয়েছে। সম্মেলনের নির্ধারিত তারিখে নির্দিষ্ট ২০টি ক্ষেত্রে দেশ ও বিদেশের সেরা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেবে। মুজিব ১০০ শিল্প প্রদর্শনীতে ১০০টি শিল্পের জন্য সেরা শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে তাদের অংশগ্রহণ এবং অবদানের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ১০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টি প্রতিষ্ঠান সরাসরি অংশ নেবে এবং বাকি ৫০টি ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবে।

এমএইচএম/এমকেআর/এএসএম