আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করে চিহ্নিত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রাইব্যুনালের মাধ্যেমে সরকার বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বুধবার দুপুরে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।মন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির প্রতারণা, সরকারি জমি উদ্ধারসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত বিষয় মীমাংসার জন্য বিশেষ আইন প্রণয়ন করে ট্রাইব্যুনাল গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে।মন্ত্রী বলেন, অসত্য তথ্য দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের সনদ নিয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশব্যাপী শুরু হতে যাওয়া উপজেলা পর্যায়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের পর আমরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল করবো।ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়ার অভিযোগে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চাকরি যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে তারা কোনো মামলা করেন কিনা আমরা তার জন্য অপেক্ষা করছি। এ সময়ের মধ্যে তারা কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিলে আমরাই মামলা করবো।উল্লেখ্য, প্রতারণা করে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেওয়ায় গত ৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিন ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব এ কে এম আমির হোসেন স্বেচ্ছাবসরে যান।ওএসডি থাকা যুগ্মসচিব আবুল কাশেম তালুকদারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
Advertisement