দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দিয়ে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের আমদানি। ফলে খুচরা বাজারে দামের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কয়েক দিন আগে খুচরায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ২০ টাকা কেজিতে। মাত্র দুসপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে এখন ৩০ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
বন্দরবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্বাস আলী বলেন, চারদিন আগে বন্দরে ২৭ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। এর আগের সপ্তাহে ২০ থেকে ২২ টাকায় কিনেছি। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের বাজার আবার ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। বর্তমানে পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৪ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
হিলি বন্দরের দেওয়া তথ্যমতে, শনিবার ২৮ ট্রাক ও রোববার ১৫ ট্রাকে মোট ১ হাজার ১০১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় আমদানি কিছুটা কমেছে।
ব্যবসায়ী ফিরোজ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, হিলি বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ২৮ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি প্রয়োজন। কিন্তু তার বিপরীতে আমদানি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক। এছাড়া ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। এটা ভারতের পুরানো পেঁয়াজের শেষ সময়।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ভারতের ইন্দর, গুজরাট, মহারাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজ আসছে। তবে দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। কারণ সেখানে অতিবৃষ্টি এবং নতুন জাতের পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। জানুয়ারির দিকে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তখন এমনিতেই দাম কমে যাবে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজের খুচরা ব্যবসায়ী মিঠু জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের যে পরিমাণ চাহিদা আছে তার চেয়ে বাজারে আমদানি কম হচ্ছে। শুধু ভারতীয় পেঁয়াজ নয় দেশীয় পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকার ভেদে বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বন্দর দিয়ে গত সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। শুক্রবার আমদানি-রফতানি বন্ধের কারণে শনিবার বন্দর দিয়ে ২৮টি ট্রাকে ৭৯৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। আর রোববার ১৫ ট্রাকে ৩০৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে গত দুসপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহের আমদানি কিছুটা কম হয়েছে।
এসজে/এমএস
Advertisement