খেলাধুলা

সৈকতে মেগা বিচ কার্নিভালের পর্দা উঠছে আজ

কক্সবাজার সৈকতে দেশে প্রথমবারের মতো তিন দিনব্যাপি ‘মেগা বিচ কার্নিভাল-২০১৫’র পর্দা উঠছে আজ (বৃহস্পতিবার)। এ উপলক্ষে কক্সবাজার শহরকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। বেলা ১১টায় সৈকতের লাবণী পয়েন্টে কার্নিভালের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।কার্নিভালের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার রাতে হোটেল শৈবালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি।সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা দিয়েছেন। পর্যটন মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালে অন্তত ১০ লাখ বিদেশি পর্যটককে দেশে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার (২ জানুয়ারি) পর্যন্ত তিন দিনের ‘মেগা বিচ কার্নিভাল’ হচ্ছে। ইতোমধ্যে সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।কার্নিভালে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন মন্ত্রী। প্রতিবছরই কার্নিভাল আয়োজন হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানিয়েছেন, বিচ কার্নিভালে থাকছে লাইভ কনসার্ট। এতে গান পরিবেশন করবে দেশের তারকা শিল্পীরা। এছাড়া সার্ফিং, বিচ ফুটবল, বিচ ক্রিকেট, ফানুস উত্তোলন, ঘুড়ি উৎসব, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ফ্যাশন শো, রাখাইনদের জলকেলিসহ পর্যটকদের জন্য থাকছে নানা আয়োজন।সরেজমিন দেখা যায়, কার্নিভাল উপলক্ষে সৈতকে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বালি ভাস্কর্য। বসানো হয়েছে নানা ডিজাইনের স্টল। পুরো শহরকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। আলোকসজ্জায় রাতের শহর এক অন্যরকম আবহ তৈরি করেছে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে শহরের প্রধান ও উপসড়ক এবং সৈকত এলাকায় সাটানো হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন। সাজানো হয়েছে সার্কিট হাউজসহ সরকারি বিশেষ স্থাপনা।তবে, সৈকতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপনে রাতের অনুষ্ঠানে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে হোটেল-মোটেল মালিক ও পর্যটকরা হতাশ। তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইসের প্রধান বিপণন ও বিক্রয় (হেড অব সেলস) কর্মকর্তা খায়রুল এনাম বলেন, সন্ধ্যার পরেই সৈকতে পর্যটকের সমাগম ঘটে। তা ছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন হয় রাত ১২টার দিকে। সন্ধ্যাকালীন নিষেধাজ্ঞা পর্যটকদের হতাশ করছে।কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, কক্সবাজার সৈকতে সন্ধ্যার পর উৎসব আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে তারকা হোটেল কিংবা ইকো রিসোর্টে বিশেষ বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করতে চাইলে সে ক্ষেত্রে প্রশাসন বিবেচনা করবে।সায়ীদ আলমগীর/বিএ

Advertisement