পৌরসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে ফুরফুরে মেজাজ বিরাজ করছে। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে বিশেষ স্বস্তি কাজ করছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এমন সময় নির্বাচনের জয়ের এই ফলাফল দলের সর্বস্তরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই নির্বাচনের ফলাফল সংগঠনের নেতাকর্মীদের মনোবলকে আরও চাঙ্গা করবে, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘নানা কারণেই পৌরসভা নির্বাচন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার সুযোগ পেয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো।তিনি বলেন, ‘মানুষ সত্যের পথে রায় দিয়েছে। এদেশে রাজনীতি করতে গেলে মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে রাজনীতি করতে হবে। এই দুই সত্ত্বাকে অস্বীকার করলে মানুষ তাদের প্রত্যাখান করবে, পৌর নির্বাচন তার প্রমাণ। আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সাধারণ মানুষ আর বিশ্বাস করে না।’ এই নির্বাচন থেকে বিএনপি শিক্ষা নেয়ার সুযোগ পাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা এমন বিজয়ের প্রত্যাশা নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। জনগণ সরকারের উন্নয়নে সমর্থন জানিয়ে এই রায় দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে এভাবে বিজয়ী করায় আমরা সকল পৌরসভাবাসীকে অভিনন্দন জানাই।’নির্বাচনে অনিয়ম, সহিংসতাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘এই ধরনের দু’একটি ঘটনা দিয়ে গোটা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। কোনো পৌরসভাতেই বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।’আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে পৌরসভা নির্বাচনের এমন ফলাফল আওয়ামী লীগের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।আওয়ামী লীগের প্রচার উপ-কমিটির সদস্য আমেনা কোহিনূর জাগো নিউজকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আনন্দিত। নির্বাচনের এই ফলাফল বিরোধীজোটের আন্দোলনের জবাব বলে মনে করি। আমরা শুরু থেকেই আমাদের প্রার্থীদের পক্ষে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে সফর করেছি। খুব কাছে থেকে দেখেছি, নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটারদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা। এবারের নির্বাচনে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।এএসএস/বিএ
Advertisement