শিগগিরই দেশের ২৫ লাখ প্রাইভেট গাড়িতে সব এফএম রেডিও শোনা যাবে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাইভেট রেডিও ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (প্রাওব)-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে স্বাক্ষাতকালে এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. হারুন-উর-রশিদ, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান চৌধুরী রনিসহ ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদ, বিটিআরসির স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল ওয়াহিদুজ্জামানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারানা হালিম সম্প্রতি বিটিআরসির একটি সভার সূত্র ধরে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি যাতে ভবিষ্যতে ফিটনেসের পর্বশর্ত হিসেবে সবগুলো গাড়িতে ১০৮ মেগাহার্জ পর্যন্ত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বাধ্যতামূলক করা হয়। এছাড়া আমরা নতুন গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে বিষয়টি খেয়াল রাখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রলণালকে অনুরোধ জানাবো। তারানা হালিম প্রাইভেট রেডিও ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সবগুলো দাবিকে যৌক্তিক হিসেবে উল্লেখ করে তার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ অ্যাসোসিয়েশনকে যতটুকু সম্ভব সহায়তার আশ্বাস দেন। কিন্তু বিষয়গুলোর সঙ্গে তথ্য, অর্থ, বাণিজ্য, স্বরাষ্ট্র, সড়ক মন্ত্রণালয় এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থা জড়িত। সুতরাং আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। মো. হারুন-উর-রশিদ জানান, বাংলাদেশের সিংহভাগ গাড়ি জাপান থেকে আমদানিকৃত হওয়ায় সেগুলোতে ৯০ মেগাহাডর্সের উপরে ১৪টি এফএম রেডিও শোনা যাচ্ছে না। ৯০ ফ্রিকোয়েন্সি ৪টি এফএম রেডিওগুলো ভালো ব্যবসা করলেও অন্য রেডিও স্ট্রেশনগুলো ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তিনি বেসরকারি ৪টি এফএম রেডিও স্টেশনকে ৯০ ফ্রিকোয়েন্সির নীচে নামি এনে লাইসেন্সপ্রাপ্তির ভিত্তিতে নতুন করে ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ বা সব গাড়িতে ১০৮ ফ্রিকোয়েন্সি পর্যন্ত সবগুলো এফএম শোনানোর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান। রাশেদুল হাসান চৌধুরী রনি জানান, বর্তমানে প্রতিটি প্রাইভেট এফএম রেডিও স্টেশনকে বিটিআরসি স্টেশন ফি বাবদ বছরে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিতে হয়। একই ফ্রিকোয়েন্সিতে দেশব্যাপী ১০টি অ্যান্টিনার জন্য ফি দিতে হচ্ছে ২৩ লাখ টাকা - যে কারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেক স্টেশন দেশব্যাপী স্টেশন ছড়িয়ে দিতে পারছে না। অসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সবুজায়নের স্বার্থে পার্শ্ববর্তীদেশ ভারতের মতো বিটিআরসির কাছে স্ট্র্যাকচার শেয়ারিং পালিসির আওতায় মাল্টিপল ফ্রিকোয়েন্সির এন্টিনা স্থাপনের অনুমতি চাওয়া হয়। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়সহ এফএম স্টেশনগুলোর অপারেটিং কস্ট অনেকাংশেই কমে আসবে।এসএ/এসকেডি/পিআর
Advertisement