সাহিত্য

রাওয়া বইমেলার গোছানো পরিবেশে খুশি পাঠকরা

আর্মড ফোর্সেস অফিসারদের লেখা বই সবার কাছে পরিচিত করতে এবং লেখক-প্রকাশক, পাঠক-বইপ্রেমীদের মেলবন্ধন ঘটাতে বইমেলার আয়োজন করেছে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া)। দুই দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর)। আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংগীত সন্ধ্যার মাধ্যমে মেল শেষ হচ্ছে। মেলার পরিচ্ছন্ন ও গোছানো পরিবেশ দেখে খুশি আগত পাঠক-বইপ্রেমীরা।

Advertisement

শনিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কনভেনশন হলে (হেলমেট) আয়োজিত ‘রাওয়া বইমেলা ২০২১’ এ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বইমেলার পরিবেশ অনেক পরিচ্ছন্ন ও গোছানো। মেলায় অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা লেখালেখি করেন তাদের বই যেমন স্থান পেয়েছে, তেমনি খ্যাতনামা বিভিন্ন প্রকাশনী অংশ নিয়েছে। মেলায় বাইরের পাঁচটি প্রকাশনীর স্টলসহ মোট ৫০টি স্টল রয়েছে। মূলত লেখকদের উৎসাহিত করতে নানা শ্রেণি-পেশার পাঠক এ বইমেলায় এসেছে। যেখানে ছোট-বড় সব ধরনের পাঠক এসেছেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মেলার অন্যান্যবারের মতো উপস্থিতি কম থাকলেও শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

মেলায় আগত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘বাচ্চার জন্য বই কিনতে এলাম। এখন বই দেখছি। একুশে বইমেলায় অনেক ভিড় থাকে, ভালোভাবে বই দেখা যায় না। কিন্তু এখানকার পরিবেশ বেশ ভালো, পরিচ্ছন্ন ও গোছানো।’

উচ্চমাধ্যমিক পাস করা পাঠক সামিয়া ফারুক বলেন, ‘এখানকার পরিবেশ অনেক ভালো ও গোছানো। আমার খুব ভালো লাগছে। একুশে বইমেলার তুলনায় বইয়ের কালেকশন একটু কম। তারপরও এসে খুব ভালো লাগছে।’

Advertisement

শুধু বড়রাই নন, মেলায় বই কিনতে এসেছে শিশুরাও। মায়ের সঙ্গে বই কিনতে আসছে বাংলাদেশ ইন্টারনেশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জুয়াই রিয়া। কী বই কিনেছো জানতে চাইলে রিয়া বলে, ‘রূপকথার গল্পের বই কিনেছি। এখানে এসে ভালো লাগছে। বিভিন্ন বই দেখেছি।’

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মেলায় অবস্থানকালে বইমেলা নিয়ে কথা হয় রাওয়া সদস্য ও মেলার অন্যতম লেখক সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘যারা অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসার, তাদের লেখালেখিতে উৎসাহিত করতে মেলাটির আয়োজন করা হয়। তাদের পরিচিত করতেই এটির আয়োজন করা। বই পড়তে ও কিনতে অনেকে এসেছেন দেখে ভালো লাগছে। প্রচার-প্রচারণা কিছুটা বাড়লে পাঠক-লেখকরা আরও বেশি উৎসাহিত হবে।’

রাওয়ার আরেক সদস্য ও লেখক নাজনীন তৌহিদ বলেন, ‘আমরা যারা লেখালেখি করি তাদের উৎসাহিত করতে রাওয়া বেশ ভূমিকা রাখছে। রাওয়ার প্রকাশনীর সঙ্গে অন্য প্রকাশক ও পাঠকদের সঙ্গেও পরিচিত করে এই আয়োজন। সকালে পাঠকদের উপস্থিতি কম হলেও বিকেলে তাদের সংখ্যা বাড়ে।’

মেলায় অংশ নেওয়া মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশনীর সমন্বয়কারী মামুনুর রশীদ বলেন, সংগঠনটির রিসোর্স ও পরিসর অনেক বড়। এখানকার পরিবেশও খুব ভালো ও গোছানো। সেটাকে কাজে লাগিয়ে পাঠক-লেখকদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরির জন্য আরও প্রচারণা করলে মেলাটি জমে উঠবে। আগামীতে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর বিষয়ে তাগিদ দেন তিনি।

Advertisement

আরএসএম/এআরএ/জেআইএম