সৈয়দপুরের চারটি ভোট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রেখে নীলফামারী জলঢাকা ও সৈয়দপুরের ৩৮টি ভোট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ওই দুই পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে এই ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ওই সব কেন্দ্রে কেন্দ্রে সংশ্লিষ্টরা ভোট গণনা শুরু করেছে। জলঢাকা পৌরসভায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও সকাল সাতটা থেকে ভোটাররা কেন্দ্রে এসে লাইন দিতে শুরু করেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে নারী পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেখা গেছে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত পৌরসভার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ইলিয়াছ হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিএনপির মেয়র প্রার্থী ফাহমিদ ফয়সাল বলেন, কোনো সমস্যা হয়নি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়েছে। জলঢাকা পৌরসভার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রায় ৮০ ভাগ ভোট পড়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, ২৮ দশমিক ২২ বর্গ কিলোমিটারের ওই পৌর সভায় নয়টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২৯ হাজার ৫৭৬। এর মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৫২৭। মেয়র পদের প্রার্থী রয়েছেন ছয় জন। নয়টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৩টি পদে ১৪ জন এবং নয়টি ওয়ার্ডের নয়টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।সৈয়দপুরে ৪ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিতসৈয়দপুর পৌরসভায় ৩২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রেখেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। বুধবার সকাল ৮টা থেকে থেকেই সুষ্ঠু পরিবেশ ভোটগ্রহণ চলে। দুপুর পৌনে একটার দিকে সৈয়দপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলার প্রার্থী জোবায়দুর রহমান মিন্টুর ছোট ভাই ফয়জুর রহমান নান্টু (৩৫) একদল সন্ত্রাসী নিয়ে গিয়ে ফ্রি- আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যালটবক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশ ২৪ রাউন্ড রাবারের গুলি ছুড়লে ফয়জুর রহমান নান্টু গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এ সময় ওই ভোট কেন্দ্র থেকে দুইজনকে আটক করে। এ ছাড়াও প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোট কেন্দ্র দখল ও ব্যালটে সিল মারার চেষ্টা করায় প্রশাসন অপর তিনটি ভোট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেয়। স্থগিত ভোট কেন্দ্রগুলো হলো দুই নম্বর ওয়ার্ডের গোলাহাট রেলওয়ে কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এদিকে ভোটগ্রহণ চলাকালীন ভোটারদের কাছে টাকা বিতরণের সময় সৈয়দপুরে টাকা ৬০ হাজার টাকাসহ ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবিদ হোসেন লাড্ডানের ভাই পাপ্পু (৩৫) সহ চারজন কে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দপুর পৌর নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার জিলহাজ উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে ৪ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রেখে বাকি ২৮টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়েছে। স্থগিত ৪টি ভোটকেন্দ্রের মোট ভোট সংখ্যা ১০ হাজার ৪১৮। সৈয়দপুরে মোট ভোটার ৮১ হাজার ৩৭১ জন। জাহেদুল ইসলাম/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement