কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে জোরপূর্বক নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির সরকার রিটার্নিং অফিসার বরাবর ১০টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে পুনরায় ভোটগ্রহণের আবেদন করেছেন।বিএনপি সমর্থকরা অভিযোগ করে বলেন, বিকেল তিনটার দিকে ৮নং ওয়ার্ডের মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে নৌকার পক্ষে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা জোরপূর্বক কক্ষে প্রবেশ করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে তা বাক্সে ফেলেছেন। এসময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। খবর পেয়ে স্টাইকিং ফোর্স, ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে ওই কেন্দ্রের ৫নং বুথের ৪৫টি ভোট বাতিল করা হয়। এ কেন্দ্রে এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে।অপরদিকে, বিকেল সোয়া তিনটায় বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির সরকার রিটার্নিং অফিসার বরাবর নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, সকাল ৯টা থেকে থেমে থেমে বিভিন্ন সময় কেওয়া তমির উদ্দিন আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্র, কেওয়া পশ্চিম খণ্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, আলহাজ্ব ধনাই বেপারী উচ্চ বিদ্যালয়, গিলারচালা কেন্দ্র, চন্না পাড়া কেন্দ্র, উজিলাব কেন্দ্র, কেওয়া পূর্ব কেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, তুলা উন্নয়ন বোর্ড কেন্দ্র, লোহাগাছ পুরুষ কেন্দ্র থেকে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা ধানের শীষের প্রতীকের এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছে। এ ঘটনায় তারা এই ১০টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি করেছেন। তাদের এ আবেদনটি উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম গ্রহণ করেন। মো. আমিনুল ইসলাম/এমজেড/পিআর
Advertisement