কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আশপাশে শব্দদূষণের কারণে অতিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন বিভিন্ন পার্ক ও রিসোর্ট, স্থানীয়দের ডিজে পার্টি ও অনুষ্ঠানে দিনরাত উচ্চ শব্দে গান-বাজনার কারণে আবাসিক হল ও বিভিন্ন ছাত্রাবাসে পড়ালেখা ও ঘুমের পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটছে।
Advertisement
শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এর চারপাশের ১০০ মিটার পর্যন্ত ‘নীরব এলাকা’। নীরব এলাকায় শব্দের মাত্রা ৪০-৫০ ডেসিবল ও আবাসিক এলাকায় ৪৫-৫৫ ডেসিবল। তবে এই নির্ধারিত মাত্রা মানছেন না স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, প্রত্নতত্ত্ব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে পরীক্ষা চলাকালে পার্শ্ববর্তী পার্ক থেকে আসা গানের শব্দে বিড়ম্বনায় পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর আগে টানা কয়েকদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল-সংলগ্ন স্থানীয়দের এক অনুষ্ঠানে ডিজে পার্টির উচ্চ শব্দে ভোগান্তির শিকার হন শিক্ষার্থীরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সোহাগ মনি বলেন, আশপাশের এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই উচ্চশব্দে গান বাজানো হয়। এতে আমরা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারি না। ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।
Advertisement
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার পরীক্ষা চলাকালীন এতো জোরে সাউন্ড হচ্ছিল যে হলে পরীক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট হচ্ছিলো। আমরা জানালাগুলো বন্ধ করে শব্দ কমানোর চেষ্টা করেছি। বেশ সমস্যাই হয়েছে আমাদের।’
এ বিষয়ে কুবি-সংলগ্ন স্বপ্নচূড়া পার্কের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষার মধ্যে গান বাজানো হয়েছে বিষয়টা জেনে আমরা লজ্জিত। আমরা পর্যটকদের জানিয়েছি যেন সাউন্ড কমিয়ে দেয়। সামনে থেকে যথাসম্ভব সাউন্ড কমিয়ে রাখার চেষ্টা করবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টা জেনেছি। কর্তৃপক্ষকে জানাবো যেন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবো। গতবারও রিসোর্টগুলোকে আমরা এ বিষয়ে নোটিশ করেছিলাম। এখন আবার নোটিশ করতে হবে মনে হচ্ছে।’
Advertisement
এসআর/জিকেএস