চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, মতলব ও হাজীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালট ছিনিয়ে নেয়া, কেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে ব্যাপক সংঘর্ষ, পুলিশের ৩৪ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ ও কেন্দ্রের বাইরে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় একজন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার সারাদিন দফায় দফায় এসব ঘটনা ঘটেছে।এদিকে মতলব পৌরসভার মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মতলর পৌরসভার দক্ষিণ বাইশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে বিএনপির সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে দুই দলের ১০ জন আহত ও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশের ওসি বখতিয়ার আলম জাগো নিউজকে জানান, দক্ষিণ বাইশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়েছে।ফরিদগঞ্জ পৌরসভার চর কুমিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় ১০ জন। এসময় কেন্দ্রের বাইরে ৩ আওয়ামী লীগ নেতার ৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। এছাড়া কাছিয়ারা ভোটকেন্দ্রে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৪ রাউন্ড গুলি করে। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোতাহার হোসেন পাটোয়ায়রীসহ ৯ জন আহত হয়েছন। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি ১৪ রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন।এদিকে হাজিগঞ্জ পৌরসভার আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের। এসময় পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানিয়েছেন, যেখানেই অনিয়মের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মতলব পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার ফারহনা ইসলাম জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের পরিবেশ না থাকায় মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ইকরাম চৌধুরী/এমএএস/পিআর
Advertisement