নওগাঁর দুটি পৌরসভায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হলেও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। পৌর নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। প্রতিটি কেন্দ্রের পুলিশ ও আনছার বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা হয়। পাশাপাশি র্যা ব, বিজিবি ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সার্বক্ষণিক টহল দেয়।সরজমিনে দেখা গেছে, কনকনে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল আাটটা থেকে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সংবাদ জানা যায়নি। বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ, বিএনপির নজমুল হক সনি, স্বতন্ত্র আবদুল ওয়াহাব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শহিদুল ইসলাম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নওগাঁ পৌরসভায় কাউন্সিলর পদে ৪৬ ও নারী (সংরক্ষিত) কাউন্সিলর পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার এক লাখ ৫ হাজার ৭৮০ জন। এর মধ্যে নারী ৫২ হাজার ৮৩০ জন ও পুরুষ ভোটার ৫২ হাজার ৯৫০ জন ভোটার রয়েছেন।অপরদিকে, পত্নীতলার নজিপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের রেজাউল কবির চৌধুরী বাবু, বিএনপির আনোয়ার হোসেন ও জাতীয় পার্টির আসগর আলী মেয়র পদে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নজিপুর পৌরসভায় কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও নারী (সংরক্ষিত) কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ১৫ হাজার ৬৮৩ জন। এর মধ্যে নারী ৭ হাজার ৮৬৩ জন ও পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৮২০ জন ভোটার। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, দুটি পৌরসভায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রায় ৮০ ভাগ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে নওগাঁ পৌরসভায় ৩৮ ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোট গণনা শেষে (তালা প্রতীক) ৩৭ হাজার ১৮৮ ভোট পেয়ে মেয়র পদে নজমুল হক জয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রফিকুল ইসলাম (রফিক) আনারস ৩০ হাজার ৬০৩, এএইচএম আব্দুর রশিদ (কাপ ও পিরিচ) এক হাজার ৬৭১, কাজী মো. আব্দুর রায়হান (দোয়াত কলম) ৭৬ পান। মোট ভোটার ছিলেন ৯৪৩৬৮ জন। জেলার অপরটি পত্নীতলার নজিপুর পৌরসভায় ৯ ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোট গণনা শেষে (কাপ ও পিরিচ প্রতীক) পাঁচ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়ে মেয়র পদে মো. আনোয়ার হোসেন জয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা মো. আমিনুল হক (দেওয়াল ঘড়ি) চার হাজার ৯৪৩, সৈয়দ লতিফর রহমান (আনারস) ৪৩৫ পান। মোট ভোটার ছিলেন ১২ হাজার ৭৪১ জন।আব্বাস আলী/এমজেড/পিআর
Advertisement