দেশজুড়ে

সংঘর্ষ-বর্জনে জামালপুরে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

বিভিন্ন কেন্দ্রে সংঘর্ষ, হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেটসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে জামালপুরে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।বুধবার সকাল ১০টার দিকে জামালপুর সদর সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপসহ লাঠিচাজ করে। এদিকে পৌরসভায় বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীরা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি বলেও অভিযোগ ওঠেছে।জানা যায়, সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ছাড়াও আজাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ছনকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বানিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ব্যালটে পেপারে সীল মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর ফলে ওই ৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়।এর আগে সিল মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিংহজানি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রেও এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। এছাড়া জামালপুর পৌরসভার তিরুথাবটতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইকবালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নাসিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।অন্যদিকে সরিষাবাড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাউসী বাঙ্গালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র স্থায়ীভাবে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে রিটানিং অফিসার।মেলান্দহ পৌরসভায় শাহজাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ফাঁকা গুলি বর্ষণ হয়েছে। এ সময় ৮ জন আহত হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও আওয়মী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যেও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ৩ রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং ৪ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।জামালপুর সদরের বিএনপি মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহ ওয়রেছ আলী মামুন অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকেই ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯টি কেন্দ্র থেকে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের দেওয়া হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা জোর করে সিল মেরেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।অন্যদিকে জামালপুর সদরের জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী খন্দকার হাফিজুর রহমান বাদশা ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জামালপুর জিলা স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে দেখি নিজের ভোট আগেই কে যেন দিয়ে দিয়েছে।অপরদিকে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী শেখ নুরুন্নবী অপু ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও জামালপুর পৌরসভায় ৭ নং ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী তরুণ হাসান কাজল এবং ২ নং ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শহিদুল ইসলাম শহিদও নির্বাচন বর্জন করেছেন। শুভ্র মেহেদী/আরএস/এমএস

Advertisement