জাতীয়

লাইসেন্স না থাকলেও মামলা নিতে গড়িমসি, দাবি শিক্ষার্থীদের

বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবার (০১ ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা ব্রিজে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। দিনভর রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চালক ও গাড়ির লাইসেন্স আছে কি না তা পরীক্ষা করে তারা। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালক খুঁজে বের করলেও পুলিশ তাদের মামলা দিতে গড়িমসি করে বলে দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।

Advertisement

গাড়িচালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করা অবস্থায় এক শিক্ষার্থীর দাবি, ‘আমরা প্রতিটি গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা করি। যদি কোনো চালকের লাইসেন্স না থাকে কিংবা মেয়াদ খুব বেশিদিন আগে শেষ হয়ে যায়, তাহলে পুলিশকে অবগত করি। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে তেমন সহযোগিতা পাই না। মামলা নিতে নানা গড়িমসি করেন তারা। মামলা লেখার কাগজ শেষ, এক সার্জন আরেকজনের কাছে পাঠান- এমন আচরণ করেন তারা।’

তবে, আন্দোলনের প্রথম দিন (মঙ্গলবার) পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করলেও পরের দিন (বুধবার) তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে বলেও জানায় আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী। তার দাবি, ‘আমরা প্রথম দিন যখন আন্দোলন করি সেদিন পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করতে চাচ্ছিল না। আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি দাঁড় করালেও পুলিশ মামলা দিচ্ছিল না। কিন্তু পুলিশের গাড়িও ছাড় দেইনি। পুলিশের বিরুদ্ধেও মামলা ও জরিমানা করতে বাধ্য করেছি। এজন্য পুলিশ দ্বিতীয় দিনে আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। তারা এখন লাইসেন্সবিহীন চালককে মামলা দিচ্ছেন।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খিলগাঁও জোনের এডিসি নুরুল আমীন জাগো নিউজকে বলেন, ওরা (শিক্ষার্থীরা) বাচ্চা মানুষ। কতো কথাই বলে। আমরা তো মামলা নিচ্ছি। এমনকি আমরা নিজেদের গাড়ির চালককেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের মামলা দিয়েছি।

Advertisement

গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রামপুরায় একরামুন্নেসা স্কুলের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দীন গাড়িচাপায় নিহত হওয়ার পর বেশকিছু গাড়িতে আগুন দেয় ও ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। পরের দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রামপুরা ব্রিজ অবরোধ করে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে নিরাপদ সড়কের দাবি নিয়ে বুধবারও রামপুরা ব্রিজে অবস্থান নেয় তারা। দিনভর অবস্থান করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব ধরনের গাড়ি থামিয়ে চালকের ও গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা করে তারা।

এমআইএস/কেএসআর/এএসএম