রাতের সূচনায় সন্ধ্যা থেকে শুরু করে দিনের আলো না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক শিশুকে নিজেদের সঙ্গে একত্রে রাখার কথা বলেছেন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আবার তিনি রাতের সময়টিতে ঘরের দরজাও বন্ধ রাখতে বলেছেন। কিন্তু কেন তিনি এমনটি বলেছেন? এ সম্পর্কে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন?
Advertisement
হাদিসের বর্ণনা থেকে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, সন্ধ্যা হওয়ার সময় শয়তান জমিনে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তারা শিশুসহ মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। শয়তানের ক্ষতি ও কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে থাকতেই নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তা ওঠে এসেছে-
১. রাতের শুরুতে শিশুদের নিজেরে কাছে রাখাহজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা রাতের সূচনায় (সন্ধ্যার শুরু থেকে) অন্ধকার দূর না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের শিশুদের সামলিয়ে রাখো। এই সময় শয়তানেরা (চারদিকে মানুষের ক্ষতি ও অনিষ্টতায়) ছড়িয়ে পড়ে।’ (আদাবুল মুফরাদ, মুসলিম)
২. ঘরের দরজা বন্ধ রাখাহজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু আরও বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা গভীর রাত পর্যন্ত গল্প-গুজবে মশগুল থেকে না। কারণ তোমাদের কেউ জানে না যে, আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিকুলের অনেককে রাতে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে ছড়িয়ে দেন। তোমরা (রাতের বেলা) ঘরের দরজাগুলো বন্ধ রাখো; পানপাত্রের (খাবারের পাত্রের) মুখ বেঁধে বা বন্ধ করে রাখ; পাত্রসমূহ ঢেকে রাখো এবং আলো নিভিয়ে দাও।’ (আদাবুল মুফরাদ)
Advertisement
উল্লেখিত হাদিস দুটি থেকে কিছু বিশেষ দিকনির্দেশনা পাওয়াা গেলো; যেগুলো মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমলের বিষয়। তাহলো-> নিরাপত্তার স্বার্থে নিজ নিজ শিশুদের সন্ধ্যা থেকে নিজেদের হেফাজতে রাখা। কারণ এসময় শয়তান মানুষের অনিষ্টতায় জমিনে ছড়িয়ে পড়ে।> রাত জেগে গল্প-গুজব না করা।> ঘরের দরজা বন্ধ রাখা।> খাবারে পাত্রের মুখ বেঁধে রাখা এবং পাত্রের মুখ ঢেকে রাখা।> ঘরের আলো নিভিয়ে দেওয়া।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, রাতের বেলা নিজ নিজ শিশু ও নিজেদের ঘরকে নিরাপদ রাখতে এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে হাদিসের ওপর আমল করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। সন্ধ্যা থেকেই নিজ নিজ শিশু ব্যবহার্য জিনিসে নিরাপদে হেফাজত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস
Advertisement