খেলাধুলা

নিজেদের মাঠে ডি ভিলিয়ার্সদের হার

সময়টা ভালো যাচ্ছে না টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতের কাছে ৩-০ তে সিরিজ হারের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে নিজেদের মাঠে নেমেছিল আমলা-ডি ভিলিয়ার্সরা। তবে এবার ঘরের দর্শকদেরও হতাশ করলো প্রোটিয়ারা। ডারবানে সিরিজের প্রথম টেস্টে ২৪১ রানের বিশাল ব্যবধানে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলো স্বাগতিকরা।দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দেওয়া ৪১৬ রানের বিশাল চ্যলেঞ্জ তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনে ৮৮ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ভালোই বিপদের মধ্যে ছিল প্রোটিয়ারা। আউট হয়ে গেছেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান ডিন এলগার, স্টিয়ান ফন জিল এবং অধিনায়ক হাশিম আমলা।তবে ডিন এলগার আর স্টিয়ান ফন জিল- দু’জন মিলে ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ৫৩ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু বেন স্টোকসের বলে বোল্ড হয়ে স্টিয়ান ফন জিল আউট হয়ে গেলে ভাঙে তাদের জুটি। ফন জিল করেন ৩৩ রান। হাশিম আমলা সম্ভবত ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় কাটাচ্ছেন। প্রথম ইনিংসে তিনি আউট হয়েছিলেন ৭ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হলেন মাত্র ১২ রান করে।দলীয় ৮৫ রানে আমলার উইকেট হারানোর পরপরই প্রোটিয়ারা হারালো ডিন এলগারের উইকেটও। ৪০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরি করা এলগার। দ্রুত তিন উইকেট পড়ার পর প্রোটিয়া ইনিংসের লাগাম ধরেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ফ্যাফ ডু প্লেসিসকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার স্থায়ীত্ব মাত্র ৪৮ রানের। স্টিভেন ফিনের বলে অ্যালিস্টার কুকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ডু প্লেসিস। তার নিজের রান তখন ৯।তবে পঞ্চম দিনে স্বাগতিকদের হতাশ করে দলের সবচেয়ে বড় তারকা ডি ভিলিয়ার্স। আগের দিনের ৩৬ রানের সাথে মাত্র ১ রান যোগ করেই সাজঘরে ফেরেন এই তারকা।এরপর দ্রুত, স্টেইন (২), পিট (০), ও মরকেল (৮) দ্রুত সাজঘরে ফিরলে হারের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত ডুমিনি ২৭ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে জো রুটের ৭৩, জনি ব্যারেস্ট্রর ৭৯, কম্পটনের ৪৯ এবং জেমস টেলরের ৪২ রানের ওপর ভর করে ৩২৬ রান তোলে ইংল্যান্ড। ড্যান পিট নেন ৫ উইকেট। স্টিয়ান ফন জিল ৩টি এবং ১টি করে উইকেট নেন মরনে মর্কেল ও কাইল অ্যাবট।এমআর

Advertisement