ফিচার

বিশ্বের ‘জঘন্য’ যত খাবার

বিশ্বের নানান দেশে খাবারের তালিকায় বিভিন্ন পোকামাকড়ের খবর নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি এফএও এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ তাদের খাবারের অংশ হিসেবে পোকামাকড় খেয়ে থাকেন। পৃথিবীতে খাওয়া যায় এমন পোকামাকড়ের প্রজাতির সংখ্যা এক হাজার ৯০০।

Advertisement

পোকামাকড় নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকে জনপ্রিয় সব পদ হিসেবে। চীনের কিছু অংশে রাস্তার খাবার হিসেবে মসলাদার বিচ্ছু, পশ্চিম কেনিয়ার ভাজা উইপোকা, ইন্দোনেশিয়ায় তরকারি ড্রাগনফ্লাই, ক্যামেরুনের কিছু অংশে বিটল লার্ভা, কম্বোডিয়ায় ওক-ভাজা ট্যারান্টুলাস বা রেশম কীট, গ্রামীণ জিম্বাবুয়েতে সস-ভেজা মোপান কৃমি। তাছাড়া মোক্সিকো, নাইজার ও গায়ানাতেও খাওয়া হয় পোকামাকড়।

এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু অদ্ভুত খাবার রয়েছে নানান দেশের জনপ্রিয় পদের তালিকায়। যেমন কম্বোডিয়ার এক জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে ট্যারান্টুলা ভাজা।

ভাতের সঙ্গে মচমচে ভাজা মাকড়সা তাদের প্রিয় খাবারের একটি। অবশ্য দারিদ্রতার জন্য পোকামাকড় খাওয়ার চল ধীরে ধীরে তাদের বাড়তে থাকে।

Advertisement

ফিলিপিন্সরা হাঁসের নিষিক্ত ডিম জ্যান্ত অবস্থায় ভেজে খায়। এই পদকে সে দেশে বলা হয় বালুট। লবণ, সস আর ভিনেগার দিয়ে পরিবেশন করা হয় এই ডিম।

প্রথমে সামান্য ফাটিয়ে নিয়ে তরলটা গিলে ফেলতে হয়। এরপর বাকিটা খাওয়ার রীতি। ভ্রূণ যদি খানিক পরিণত হয়ে যায়, তাতেও খেয়ে ফেলা যাবে ডিমটি।

কানাডার মানুষেরা খান হরিণের নাক। হরিণের মাংস খাওয়ার চল কমবেশি সব দেশেই রয়েছে। তবে কানাডায় মুসের (এক ধরনের হরিণ) নাক প্রথমে সেদ্ধ করা হয়।

এরপর ভালোভাবে পরিষ্কার করে মসলা মাখিয়ে রান্না করা হয়। তার উপর এক ধরনের ঝোল সামান্য জমিয়ে একটা জেলির মতো তৈরি করা হয়।

Advertisement

মঙ্গোলিয়ার বাসিন্দারা ঘোড়ার দুধ পচিয়ে বিশেষ এক মদ তৈরি করেন। যা সে দেশে খুবই জনপ্রিয় খাবার সবার কাছে। আইরাগ নামের সেই তরল ঠান্ডা করে খায় তারা।

টুনা মাছের চোখ, জাপানিরা সয়া সস দিয়ে ভাপিয়ে টুনা মাছের চোখ খেয়ে থাকে। আকারে বেশ বড় হয় টুনার চোখ। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় বেশ চড়া দামে বিক্রি হয় এই পদটি।

গ্রিনল্যান্ডের ইনুয়িটরদের কাছে তিমি মাছের চামড়া এবং চর্বি দিয়ে তৈরি বিশেষ এই খাবার খুবই জনপ্রিয়। শুধু তাই ই নয়, তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে এই খাবার। তবে এটি কিন্তু রান্না করা হয় না। শুধু একটু আচার মাখিয়ে কাঁচাই খেতে হয় খাবারটি। খাবারটির নাম সেখানে মুকটুক।

সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস/শেফস পেন্সিল

কেএসকে/এএসএম