জেমস ও মাইলসের আটটি গান অনুমতি ছাড়া ১৪ বছর ধরে ওয়েলকামটিউন হিসেবে ব্যবহার করায় কপিরাইট আইনের মামলায় জামিন নিয়েছেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিক অ্যাসসহ চারজন।
Advertisement
অন্য তিনজন হলেন- প্রতিষ্ঠানটির চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, চিফ করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান এবং হেড অব ভ্যাস অনিক ধর।
আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তারা পৃথক দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
এর আগে ১০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ দুই মামলা করেন তারা। আদালত তাদের এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য বাংলালিংকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সেদিন জেমস আদালতে উপস্থিত হন। এছাড়া মাইলসের পক্ষে দুজন উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে জেমস ও মাইলসের আইনজীবী মিজানুর রহমান মামুন বলেন, ‘নীলা তুমি’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ মাইলস ব্যান্ডের এই দুটি গান কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে ১৪ বছর ধরে ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। গান দুইটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের মৌখিকভাবে বলা হয়। এরপর ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট গান দুইটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এছাড়া তিনটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের গান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়। এরপরও তারা তা সরিয়ে নেয়নি। চলতি বছরের ২১ অক্টোবর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গুলশান থানায় যাই। থানায় মামলা না নিলে আমরা আদালতে বিচারের জন্য এসেছি।
তিনি আরও বলেন, নগরবাউলের ছয়টি গান অনুমতি ছাড়া ১৪ বছর ধরে ওয়েলকামটিউন হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলালিংক। তাদের এ বিষয়ে বলার পরও গান সরায়নি। আমরা তাদের গান সরাতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই। এছাড়া তিনটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের গান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়। এরপরও তারা তা সরিয়ে নেয়নি।
এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলা করতে আবেদন করেন তিনি। এ সময় বিচারক তাকে থানায় (গুলশান থানা) গিয়ে মামলা করতে পরামর্শ দেন। দুপুর ১টার দিকে তিনি বিচারকের পরামর্শে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
Advertisement
এ বিষয়ে সেদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) তাপস কুমার পাল বলেন, জেমস আদালতে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে মামলার আবেদন করতে আসেন। বিচারক গুলশান থানায় গিয়ে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। এছাড়া থানায় যদি মামলা না নেয় তাহলে আদালতে এসে মামলার আবেদন করতে বলেন।
নগর বাউল জেমসের আইনজীবী তাপস কুমার বলেন, বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে মামলার আবেদন করতে আসেন জেমস। আদালতের পরামর্শে তিনি মামলা না করে ফিরে যান।
জেএ/এমএইচআর/জিকেএস