দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে বর্তমান টিকাগুলো কম কার্যকর অর্থাৎ আগে যেভাবে করোনা প্রতিরোধে টিকা কার্যকর ছিল সেভাবে আর থাকবে না। করোনার এই নতুন ধরনটি আর্থিক বাজারেও নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। মডার্নার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন ব্যান্সেলের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
মডার্নার প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ব্যান্সেল বলেন, নতুন ধরনের ফলে টিকার কার্যকারিতা কতটুকু কমেছে সে ব্যাপারে আমি জানি না। আমাদের তথ্য-উপাত্তের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। আমি অনেক বিজ্ঞানীদের সঙ্গেই কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছে, নতুন ধরন আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। টিকার কার্যকারিতা কমে গেলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়বে এবং মহামারি আরও দীর্ঘায়িত হবে।
ব্যান্সেল বলেন, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
সারা বিশ্বে এখন নতুন আতঙ্ক হয়ে ধরা দিয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি অন্তত ৩২টি মিউটেশন (জিনগত গঠনের পরিবর্তন) ঘটিয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.১.৫২৯।
Advertisement
এটি অত্যন্ত দ্রুত এবং সহজে ছড়াতে পারে এবং মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এড়াতে পারে। যার ফলে এর বিরুদ্ধে টিকা কম কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সে কারণেই ওমিক্রন নিয়ে বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর পৌঁছায়। এরপর নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তা ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধসহ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এর আগে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং কিছু অঞ্চলে এটি ‘মারাত্মক পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এমএসএম/টিটিএন/জিকেএস
Advertisement