২০১৯ সালে সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ ৭০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়। ওই ঘটনা পর্যালোচনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রধান লয়েড অস্টিন এই নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ নভেম্বর) পেন্টাগনের তরফ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
Advertisement
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, নিহত বেসামরিক নাগরিক, যুদ্ধে আইনের সম্মতি ও রেকর্ড রাখার বিষয়ে পর্যালোচনা শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল গ্যারেটকে ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর নিউইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে মার্কিন হামলায় নিহতের ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় গত ১৮ মার্চ পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ড্রোন জনবহুল এলাকায় হামলা চালায় এবং পরে আমেরিকান এফ-১৫ই জেট বিমান দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
সিরিয়ার বাঘুজে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের ওই হামলা ছিল আইএস জঙ্গিদের লক্ষ্য করে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী প্রকাশ্যে সেটা কখনই স্বীকার করে না।
সম্প্রতি এ ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানান আমেরিকার ম্যাসাচুসেট্স থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট দলের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন। সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাক রিডকে লেখা এক চিঠিতে এলিজাবেথ ওয়ারেন একটি প্যানেল প্রতিষ্ঠার দাবি জানান, যার মাধ্যমে খুব শিগগির আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা যায় এ ঘটনার।
গত ১৯ নভেম্বর ওয়ারেন ওই চিঠি লেখেন। মার্কিন আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্য এলিজাবেথ ওয়ারেন চিঠির মাধ্যমে দাবি করে বলেন, কেন ওই বিমান হামলা চালানো হয়েছে এবং তার ফলাফল কী ছিল এসব প্রশ্নের জবাবের জন্য স্বাধীনভাবে দ্রুত তদন্ত করা দরকার। পাশাপাশি এ ঘটনায় যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনাও জরুরি।
সূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভি
Advertisement
এসএনআর/টিটিএন/জিকেএস