খেলাধুলা

আইপিএল থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছেন রশিদ-রাহুল!

লোকেশ রাহুল ও রশিদ খান; প্রথমজন আইপিএল খেলছেন ২০১৩ সালের আসর থেকে। অপরজন চার বছর পরে শুরু করেও খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তবে ২০২২ আইপিএলে রশিদ-রাহুলের জন্য হয়তো শনির দশাই অপেক্ষা করছে।

Advertisement

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইনসাইড স্পোর্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আইপিএলের আসন্ন মৌসুমে নিষিদ্ধও হতে পারেন পাঞ্জাব কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এ দুই তারকা ক্রিকেটার।

জানা গেছে, ২০২২ আইপিএলের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনৌর হয়ে মৌসুম প্রতি ২০ কোটি ভারতীয় রূপিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন রাহুল। যেখানে পাঞ্জাব কিংসে মৌসুমপ্রতি ১১ কোটি রূপি পেতেন এই ডানহাতি ব্যাটার। অন্যদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রশিদেরও লখনৌর সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জন উঠেছে।

এ কারণে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে লখনৌর বিরুদ্ধে খেলোয়াড় 'ছিনতাইয়ের' অভিযোগ করেছে হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দল দুটিকে ঘটনার ব্যাপারে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে বিসিসিআই।

Advertisement

ইনসাইড স্পোর্টসকে বিসিসিআইয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যদি রশিদ-রাহুল দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তারা আইপিএলের এক মৌসুম নিষিদ্ধ হবেন। কারণ নিলামের আগে কোনো নতুন দলের সঙ্গে কোনো খেলোয়াড় যোগাযোগ করতে পারবেন না।

২০১৭ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদেই আইপিএলে অভিষেক ঘটে রশিদ খানের। তখন থেকেই লেগস্পিন জাদুতে রানপ্রসবা আইপিএলে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের যম বনে গেছেন রশিদ। গত পাঁচ মৌসুমে তিনি ৭৬ আইপিএল ম্যাচ খেলে ৯৩ উইকেট নিয়েছেন।

এর মধ্যে দুই আইপিএলে তিনি ২০ কিংবা ততোধিক উইকেট নিয়েছেন রশিদ। ২০১৮তে ২১ ও ২০২০ আইপিএলে ২০ উইকেট নিয়েছেন এই আফগান লেগস্পিনার। ২০২০ সালে দুবাইয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৪-০-৭-৩ বোলিং স্পেলটিই আইপিএলে রশিদের সেরা বোলিং।

অন্যদিকে ২০১৩ থেকে আইপিএল খেললেও পাঞ্জাবের হয়ে লোকেশ রাহুল খেলছেন ২০১৮ মৌসুম থেকে। নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারে মোট ৩২৭৩ রানের ২৫৪৮ রানই পাঞ্জাবের হয়ে করেছেন রাহুল। আইপিএলের দুই সেঞ্চুরির দুটোই তিনি করেছেন পাঞ্জাবের হয়ে।

Advertisement

এই চার মৌসুমের মধ্যে ২০১৯ মৌসুম ছাড়া বাকি তিন মৌসুমেই ছয় শতাধিক করে রান করেছেন রাহুল। ২০১৯ সালেও তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৫৯৩ রান। ২০২০ সালে দুবাইয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসটি আইপিএলে রাহুলের সেরা ইনিংস।

এসএএস/জিকেএস