নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার নির্বাচনে ১নং কেন্দ্রে সব প্রার্থীরই পোলিং এজেন্ট থাকলেও নেই শুরু বিএনপির। বিএনপির দলীয় প্রার্থীর অভিযোগ প্রবেশের ঘণ্টা খানেকের মধ্যে তার সব এজেন্টকে বের করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।দুপুর ২টার দিকে তারাবো পৌরসভার গন্ধর্বপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, অলসভাবে বসে আছেন সব বুথের সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার। নিজ কক্ষে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন প্রিজাইডিং অফিসার মাসুদুর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এখানে পুরুথ বুথ ৪টি। মহিলা বুথ ৫টি। প্রতি বুথেই সব প্রার্থীরই এজেন্ট রয়েছে।বিএনপি দলীয় প্রার্থীর কোনো পোলিং এজেন্টকে এখানে কেন দেখা যাচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকালে তারা এসেছেন। যথারীতি স্বাক্ষরও করেছেন। কিন্তু এরপর তাদের আর দেখা যায় নি।তিনি বলেন, এই ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৮ শ’ ১৩ জন। এর মধ্যে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রটিতে ভোট কাস্ট হয়েছে ১ হাজার ১ শ’ ২৯টি। প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী নাছির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকেই তাদের সব পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পরেই মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাদের বের করে দেয়া হয়।ভোটকেন্দ্রে নিজেদের এজেন্টেদের অনুপস্থিতিতে আওয়ামী প্রার্থীর লোকজন অনেক জাল ভোটও দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাছিনা গাজী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপির দলীয় অভ্যাস অভিযোগ করা। এখানে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।এই ভোট কেন্দ্রটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রার্থীরা ছাড়াও বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জগ মার্কা নিয়ে, শিব্বির আহমেদ তালপাতা নিয়ে, এবং মো. হাবিবুর রহমান কম্পিউটার মার্কা নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।অন্যদিকে কাউন্সিলর পদে ২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানা গেছে।জেইউ/এআর/এসএইচএস/এমএস
Advertisement