সেন্ট এতিয়েনের বিপক্ষে একটি গোলও করতে পারেননি পিএসজি তারকা লিওনেল মেসি। কিন্তু তবুও তিনি হ্যাটট্রিক করলেন। তার অন্যরকম এই হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্টে। তার সহযোগিতাতেই এতিয়েনের বিপক্ষে ৩টি গোল দিলো পিএসজি এবং ম্যাচ শেষে জয় তুলে নিলো ৩-১ ব্যবধানে।
Advertisement
একের পর এক জয়ের ফলে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে মেসি-নেইমারদের ক্লাব। ১৫ ম্যাচ শেষে পিএসজির পকেটে ৪০ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্টেডে রেনেঁসের চেয়ে এগিয়ে তারা ১২ পয়েন্ট। সমান ১৫ ম্যাচে রেনেঁসের পয়েন্ট ২৮।
এই ম্যাচেই পিএসজির জার্সিতে অভিষেক হলো সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার এবং অধিনায়ক সার্জিও রামোসের। রিয়াল থেকে পিএসজিতে ফ্রি ট্রান্সফারে যোগ দেয়ার পর একে একে ইনজুরির কবলে পড়েছেন রামোস।
অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর পিএসজির জার্সি পরে মাঠে নামার সুযোগ পেলেন তিনি। শুধু মাঠে নামাই নয়, প্রথম থেকে পুরো ম্যাচটা খেলেছেন সাবেক স্পেন অধিনায়ক। তার অভিষেককে স্মরণীয় করে রাখলেন মেসি অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করে।
Advertisement
তবে এই ম্যাচে পিএসজির জন্য দুঃসংবাও আছে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছেড়েছেন দলটির আরেক তারকা ফুটবলার নেইমার।
তবে ম্যাচে প্রথমে গোল দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল সেন্ট এতিয়েনে। ২৩ মিনিটে গোল করেন ডেনিস বৌয়াগনা। তবে, বিতর্কিতভাবে প্রথমার্ধে শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখিয়ে এতিয়েনের তিমোথি কোলোদজিয়েজাককে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি। কিলিয়ান এমবাপেকে ফেলে দেয়ার অপরাধে তিমোথির জন্য লাল কার্ড বের করেন রেফারি।
এ ঘটনায় ফ্রি কিক পেয়ে যায় পিএসজি। মেসি সেই ফ্রি কিক নেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে (৪৫+২) মেসির কিক থেকে বল পেয়ে সেটাকে এতিয়েনের জালে জড়িয়ে দেন মার্কুইনহোস।
১০ জনের এতিয়েনের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুর্বার হয়ে ওঠে পিএসজি। ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে আরাবও গোল। এবারও অ্যাসিস্ট মেসির। তার কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত এক ফিনিশিং টাচ দেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ম্যাচ শেষ হওয়ার খানিক আগে, ইনজুরি সময়ে আবারও অ্যাসিস্ট করেন মেসি। এবারও গোলদাতা ব্রাজিলিয়ান মার্কুইনহোস। মেসির ক্রস থেকে হেড করে এতিয়েনের জালে বল জড়ান তিনি।
Advertisement
আইএইচএস/