করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর প্রতিবেশী দেশসহ দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। তিনি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ারও আহ্বান জানান।
Advertisement
সিরিল রামাফোসা বলেন, তিনি গভীরভাবে মর্মাহত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এ ধরনের প্রতিক্রিয়ায়। তিনি বলেন, এটি অন্যায় করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় রোববার (২৮ নভেম্বর) এক বক্তব্যে রামাফোসা আরও বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই এবং বৈষম্যের শিকার হচ্ছে তার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা।
তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, নিষেধাজ্ঞা নতুন ধরন ছড়ানো বন্ধ কতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নয়। তিনি আরও বলেন, এটি বরং অর্থনীতির আরও বড় ক্ষতি বয়ে আনবে এবং করোনা মহামারি ঠেকাতে ভুক্তভোগী দেশগুলোর সক্ষমতা হ্রাস করে ফেলবে।
Advertisement
ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে দ্রুত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা দেশগুলোর প্রতি সিদ্ধান্ত বদল করার আহ্বান জানান তিনি। এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রথম সারিতে রয়েছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, ওমিক্রন দ্রুত পরিবর্তনশীল ও উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন বলে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তে জানা গেছে। গত বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার এই নতুন ধরন ওমিক্রনের শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, এটি দ্রুত রুপান্তর ঘটিয়ে ছড়ানোর সক্ষমতা রাখে অন্যান্য ধরনের তুলনায়।
এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টির সমালোচনা করে। এতে বলা হয়, বিজ্ঞানের চমৎকার সাফল্যের জন্য সাধুবাদ জানানো উচিত, শাস্তি নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক দ্রুত করোনার এই নতুন ধরন শনাক্ত করতে পেরেছে জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু সেটির ‘শাস্তি’ পাচ্ছে তারা এখন।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থা মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে ২২ জন ওমিক্রন শনাক্তের খবর জানালেও এই নতুন ধরন এখন দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে।
Advertisement
সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা
এসএনআর/জিকেএস