বিনোদন

‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার অভিজ্ঞতা আজীবন আমার কাজে লাগবে: ঐশী

মডেল, অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। ডিসেম্বরে দুটি সিনেমা মুক্তির মধ্য দিয়ে ঢালিউডে তার অভিষেক হতে চলেছে। যে কোনো চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্যই এটি দারুণ একটি ব্যাপার। ক্যারিয়ারের জন্য আশির্বাদও বলা যায়। আগামী ৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ঐশী অভিনীত ‘মিশন এক্সট্রিম’, আর ৩১ ডিসেম্বর ‘রাত জাগা ফুল’।

Advertisement

মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ খেতাবজয়ী এই সুন্দরী জাগো নিউজের মুখোমুখি হলেন তার নতুন যাত্রার অভিজ্ঞতা নিয়ে।

জাগো নিউজ : অবশেষে অভিষেক হওয়ার পালা। একমাসে মুক্তি পাবে আপনার প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা। অনুভূতিটা কেমন?ঐশী : এটা আসলে বলে বোঝাতে পারবো না। যে কোনো অভিনেত্রীর জন্য সিনেমার অভিষেকটা অনেক রোমাঞ্চকর, স্পেশাল। আর আমার দুটি ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে এক মাসের মধ্যেই। অনেক আনন্দ হচ্ছে। আবার অনেক টেনশানও হচ্ছে যে দর্শক ছবিগুলোকে গ্রহণ করবেন কি না, আমার অভিনয় উপভোগ করবেন কি না; এই ভেবে। আমি নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি আমার পরিচালক, সহশিল্পী ও টিমের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী ভালো কাজ করার।

জাগো নিউজ : ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?ঐশী : দারুণ। দুর্দান্ত বলা যায়। এটি অ্যাকশন সিনেমা। তবে আমার চরিত্রটা বিপরীতমুখী। মানে একেবারে শান্ত। প্রত্যেক পুলিশ অফিসারের ডিউটির বাইরে আরেকটা জীবন আছে। নিজস্ব একটা জগত আছে। সেই জগতে মানুষগুলোর মধ্যে আমি একজন। এই ছবির একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক চরিত্রটি। এর বেশি এখন বলতে চাই না।

Advertisement

জাগো নিউজ : ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো?ঐশী : এই সিনেমাটা আমার ক্যারিয়ারের শিক্ষা সফর। অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়েছে এখানে। বলতে পারেন সিনেমার মতো বড় ব্যানারে কাজের অনেক কৌশল, খুঁটিনাটি সব খুব পারফেক্টলি শিখতে পেরেছি যা আমার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। বিশেষ করে সিনেমায় অভিনয় করতে গেলে।

এই কাজটা শুরু হওয়ার আগে আমাদের ওয়ার্কশপ হয়েছিল। সেটি আমাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। শিখিয়েছে কোনো একটি কাজ শুরু করার আগে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। কোন বিষয়গুলোতে মনযোগ দিতে হয়। আমি ছবির পরিচালক সানী সানোয়ার ভাই, ফয়সাল আহমেদ ভাই ও পুরো টিমের কাছে কৃতজ্ঞ এই দুর্দান্ত মিশনে আমাকে সঙ্গী করায়।

জাগো নিউজ : আরিফিন শুভর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? ঐশী : শুভ ভাই কাজ কতো সহজভাবে করতে হয় তা বুঝিয়েছেন। অনেককিছু শেখার সুযোগ পেয়েছি তার কাছ থেকে। চাপ না নিয়ে কিভাবে কাজ করা যায় শিখেছি শুভ ভাইয়ের কাছে। উনি আত্মবিশ্বাসটাও দিতে পারেন। একদিন বললেন, ‘কখনো এমন ভেবো না যে এত বড় বড় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি, কি হবে না হবে। তুমি ভাববে যে পারফেক্ট বলেই এই কাজটা তোমাকে করতে দেয়া হয়েছে। এটা তোমার যোগ্যতা। এবার দক্ষতাটা প্রমাণ করো।’ এই কথাগুলো আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে আমার। কাজ করতে গিয়ে তাই ‘আমি নতুন’ এ চিন্তা আসেনি। উনার কাছ থেকে সবসময়ই সাহায্য পেয়েছি।

জাগো নিউজ : কি কি কারণে এই ছবিটি দর্শকের ভালো লাগতে পারে বলে মনে করেন আপনি?ঐশী : গল্প। একদম মৌলিক ও নতুন আঙ্গিকের গল্প এখানে পাবেন দর্শক। চমৎকার অ্যাকশন দৃশ্যগুলো উপভোগ করবেন। সংলাপগুলো খুব ভালো। তাছাড়া এ সিনেমাটি সত্যি এমন যা সচরাচর এদেশের দর্শক দেখেন না।

Advertisement

জাগো নিউজ : আরও একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আপনার। ‘রাত জাগা ফুল’। এ ছবি সম্পর্কে কিছু বলুন-ঐশী : এটিও উপভোগ্য একটি সিনেমা। রহস্য আছে। ‘মিশন এক্সট্রিম’ চরিত্রে থেকে বিপরীত চরিত্রে কাজ করা হয়েছে এখানে। আমি এনজয় করেছি কাজটি করে।

জাগো নিউজ : ‘আদম’ সিনেমাটির কোনো নতুন খবর আছে?ঐশী : ‘আদম’ সিনেমার শুটিং শেষ হয়েছে অনেক আগে। ডাবিং কাজও শেষ হয়েছে বলে জেনেছি। এখন মিউজিকের কাজ চলছে। আগামী বছরই এটি মুক্তি পাবে। এই ছবিটি বেশ অন্যরকম। বার্তা প্রধান একটি গল্প। আমার চরিত্রটাও দারুণ। আমার সৌভাগ্য যে ক্যারিয়ারের প্রথম তিনটি সিনেমায় বৈচিত্রময় তিনটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি।

আমি ‘নূর’ সিনেমার কথাও উল্লেখ করতে চাই। আরিফিন শুভ ভাইয়ের সঙ্গে কাজটা করছি। এটাও একটা দারুন চরিত্র।

জাগো নিউজ : নতুন কোনো কাজ.....ঐশী : অনেক কাজের প্রস্তাবই আসে। কিছু সিনেমার অফার আছে। ওয়েব সিরিজ আছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছে। তারমধ্যে ‘মিশন এক্সট্রিম’র প্রচারণায় অংশ নিতে হচ্ছে। তাই আপাতত কোনো নতুন চিত্রনাট্য পড়তে পারছি না। সময় লাগবে।

জাগো নিউজ : একটু অন্যরকম আলোচনা করি। শীত তো এসে গেল। শীতকাল নিয়ে আপনার কিছু স্মৃতিকথা জানান ভক্তদের.....ঐশী : শীতকাল বরাবরই উপভোগ্য। অনেক অনেক স্মৃতি আছে আসলে। যেমন ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরবিন্দুগুলো সূর্যের রশ্মিতে ঝলমল করে উঠে, সেই দৃশ্য আমার দারুণ লাগে। গ্রামে মফস্বলেই এই চিত্র চোখে পড়ে বেশি। আমি তো গ্রামে মানুষ হয়েছি, তাই আামাকে বারবার টানে দৃশ্যগুলো।

কনকনে শীতের মধ্যেও মাঠের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া। শীতের অদ্ভূত ভালো লাগার সকাল। মিষ্টি রোদের আলোয় পড়ন্ত বিকেলগুলো দারুণ ছিলো গ্রামে। খুব মিস করি। কাজের চাপ, করোনার কারণে গ্রামে যাওয়া হয় না প্রায় দুই বছর হলো। আশা করছি এই শীতে যাবো। গ্রামের শীতকালের অনুভূতিটা মনে করিয়ে দিলেন। ট্রাই করবো এবারের শীতের সময়টাতে গ্রাম থেকে নতুন কিছু স্মৃতি নিয়ে আসতে পারি কি না।

এলএ/জেআইএম