আন্তর্জাতিক

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে ‘শাস্তি’ বলছে দক্ষিণ আফ্রিকা

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সর্বপ্রথম ধরা পরে দক্ষিণ আফ্রিকায়। গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিএইচও) বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববাসীকে। একই সঙ্গে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানায়। এর পরপরই দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আসতে থাকে বিভিন্ন দেশ থেকে। সবার আগে যুক্তরাজ্য দক্ষিণ আফ্রিকা ও এর প্রতিবেশী ছয়টি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও অনেক দেশ একই পথে হাঁটে। একে ‘শাস্তি’ হিসেবে দেখছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার।

Advertisement

স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ নভেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টির সমালোচনা করে। এতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানের চমৎকার সাফল্যের জন্য সাধুবাদ জানানো উচিত, শাস্তি নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক দ্রুত করোনার এই নতুন ধরন শনাক্ত করতে পেরেছে জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু সেটির ‘শাস্তি’ পাচ্ছে তারা এখন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যখন নতুন এই ধরন বিশ্বের অন্যান্য দেশেও শনাক্ত হচ্ছে তখন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখানো হচ্ছে।

এদিকে, যুক্তরাজ্যে দুইজন, জার্মানিতে দুইজন, বেলজিয়ামে একজন, ইতালিতে একজন এবং চেক রিপাবলিকে একজনের শরীরে নতুন ধরন ওমিক্রনের অস্তিত্বের কথা জানা গেছে। এর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকার পর ইসরায়েল, হংকং ও বতসোয়ানায় এই নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়।

Advertisement

ইসরায়েল ওমিক্রন ঠেকাতে বিদেশি নাগরিকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করার সীদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এর আগে শুধু দেশটি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগতদের ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া, লেসোথো, ইসোয়াতিনি, মোজাম্বিক থেকে ফ্লাইট বন্ধ করা হবে। আগামী সোমবার থেকে কার্যকর হবে তাদের এ সিদ্ধান্ত। কানাডা ও জাপানও দেশটি থেকে ভ্রমণে বিধিনিষেধ জারি করেছে।

এদিকে, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরও আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ৭টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আজ, রোববার, ২৮ নভেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে এ সিদ্ধান্ত। অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর। ভারতও সতর্ক রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে। এদিকে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও।

সূত্র: বিবিসি

Advertisement

এসএনআর/এমএস