বিয়ে নিয়ে বিশ্বের একেক দেশে অদ্ভূত সব সংস্কৃতি পালিত হয়। ঠিক তেমনই গ্রীসে বিয়ে করলেই ভাঙতে হয় চিনামাটির প্লেট।
Advertisement
এমনকি নবদম্পতি নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময়ও দরজায় প্লেট ভেঙে গৃহে প্রবেশ করেন। এতে নাকি মন্দ আত্মা দূরে চলে যায়। যুগ যুগ ধরে গ্রীসে বিয়ের অনুষ্ঠানে প্লেট ভাঙার রীতি সবাইকে হতবাক করে!
বিয়ের অনুষ্ঠানে নবদম্পতিসহ উপস্থিত অতিথিরা শত শত প্লেট ভেঙে উৎসব পালন করেন। তারা এই রীতিকে ওপাহ বলে ডাকেন।
এর অর্থ হলো উফফ। অর্থাৎ আনন্দ ও শোকের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তারা প্লেট ভাঙার রীতি পালন করে। এমনকি এই আচারটি প্রাচুর্যেরও প্রতীক। কে কতটা ধনী সে প্রমাণও দেন তারা প্লেট ভেঙে।
Advertisement
এই রীতির সম্পর্কে দ্য ব্রোকেন প্লেট পেন্ডেন্ট কোম্পানির মত, একজন সঙ্গীতশিল্পী বা নৃত্যশিল্পীর প্রশংসা করার সময়ও প্লেট ভাঙা হয়। এটি আবেগ ও আনন্দের অভিব্যক্তি।
অশুভ আত্মা থেকে শিল্পীদের রক্ষা করতেও এই চর্চা করা হয়। প্লেট ভাঙা প্রথার উৎপত্তি ঘটে কীভাবে? গ্রীকবাসীরা অতীতে সিরামিকের প্লেট ভেঙে মৃত ব্যক্তির প্রতি শোক প্রকাশ করতো।
এরপর ধীরে ধীরে আনন্দ-উৎসবে প্লেট ভাঙার প্রথা চালু হয়। দুষ্টু আত্মাদের তাড়াতেই প্লেট ভাঙা প্রথার প্রচলন ঘটে বলে জানা যায়। এমনকি প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলেও দম্পতিরা একটি প্লেটকে দু'খণ্ড করেন।
তবে বর্তমানে পাবলিক প্লেসে প্লেট ভাঙার জন্য লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। যাতে কোনো ধরনের সংঘর্ষের সৃষ্টি না হয়।
Advertisement
তবে এখন গ্রীসের বেশ কয়েকটি রেস্তোরা ও ওয়েডিং হলে প্লেট ভাঙার বিকল্প হিসেবে ফুল নিক্ষেপ চর্চা করা হয়। কারণ প্লেট ভাঙা বেশ বিপজ্জনক ও ব্যয়বহুল। অন্যদিকে ফুল সস্তা ও পরিবেশও থাকে পরিষ্কার।
জেএমএস/এএসএম