জাতীয়

বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ-অনিয়মে ভোটগ্রহণ চলছে

সারা দেশে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ আর বেশ কিছু অনিয়মের মধ্য দিয়ে পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টা থেকেই দেশের কোথাও কোথাও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কেন্দ্র দখলের চেষ্টাও হয়েছে এরই মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে স্থগিত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের নির্বাচন। সরেজমিনে আমাদের সারা দেশের প্রতিনিধি ও ঢাকা থেকে নির্বাচন কাভার করতে যাওয়া নিজস্ব প্রতিবেদকরা ঘটনার সত্যতা জানিয়েছেন।চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ভোটকেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে বিএনপি সমর্থক নূরুল আমিন (৪০)নিহত হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌর সভার দুুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী মাহবুবুল আলম এর পক্ষে জোড় পূর্বক সীল মারার চেষ্টা হলে ভোট স্থগিত করা হয়। বরগুনা পৌরসভার গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে সদর থানার ওসি, প্রিজাইডিং অফিসার এবং সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। মানিকগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। অন্যদিকে, অনিয়েমের অভিযোগ এনে জামালুপুর সদর পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হাফিজুর রহমান নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। নড়াইলের কালিয়া পৌরসভার নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপি প্রার্থী এসএম ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি কারচুপির ব্যাপক অভিযোগ তুলেছেন। মাদারিপুরের কালকিনি পৌর সভার দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এখানে বেশ কিছু ব্যালট পেপারে সিল মারা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মারধর করেছেন বলে জানা গেছে।বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছেন। এদিকে আওয়ামী লীগ সকালে এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা পাবে দলটি।এসএ/জেডএইচ/পিআর

Advertisement